হাওযা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদক জানায়, হাওযায়ে ইলমিয়ার পরিচালক আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ'রাফি রোববার রাতে (২১ উর্দিবেহেশত ১৪০৪ হিজরি) দক্ষিণ আফ্রিকার বিশিষ্ট আলেম হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন সাইয়েদ আফতাব হায়দার এবং ক্বোম হাওযার শতবর্ষপূর্তি সম্মেলনের অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন: কোম হাওযার শতবর্ষপূর্তি সম্মেলন হিজরি ১৫তম শতকের শুরুতে কোম ও অন্যান্য হাওযাগুলোর জন্য এক নতুন ও অনন্য ঘটনা ছিল। এই সম্মেলনে একদিকে ক্বোমের ১২ শতাব্দীকালীন অতীতকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, আবার অন্যদিকে কোমের বিগত একশ বছরের ইতিহাসকেও গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে।
হাওযায়ে ইলমিয়ার শুরা পরিষদের সদস্য বলেন: এই সম্মেলনের বহু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিভিন্ন গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও হাওযার বিভাগসমূহের সম্মিলন, উলামায়ে কেরাম ও মারজায়ের বক্তব্য ও বার্তা, ইসলামী দেশগুলোর আলেমদের অংশগ্রহণ—এবং সর্বোপরি, এই সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মহান নেতার সর্বাঙ্গীণ ও যুগোপযোগী বার্তা।
তিনি বলেন, এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বহু ইসলামী দেশের দলসমূহের অংশগ্রহণ ছিল। এই ঐতিহাসিক বার্তা একটি নতুন অধ্যায় এবং হাওযায়ে ইলমিয়া, ইসলামী জ্ঞান ও ধর্মীয় বিজ্ঞান এবং জ্ঞানের প্রতিষ্ঠান ও সংস্কৃতি, দেশ ও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক রূপান্তরমূলক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
আয়াতুল্লাহ আ'রাফি বলেন: আসলে সর্বোচ্চ নেতার এই ঐতিহাসিক ও ব্যাপক বার্তা হল পূর্বের ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারির একটি সারসংক্ষেপ এবং তাঁর বক্তব্যে উল্লেখিত "সফল হাওযা"র একটি ব্যাখ্যা। পাশাপাশি, এই বার্তায় আধুনিক মানুষ, যুবসমাজ, সমসাময়িক বিশ্বের প্রয়োজন এবং উন্মোচিত দিগন্তের প্রতিও গভীর দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।
তিনি বক্তব্যের শেষভাগে বলেন: “হাওযায়ে ইলমিয়া” এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা কেবল একটি শিক্ষা কেন্দ্র নয় বরং এর একটি সভ্যতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও গভীর দায়িত্ব রয়েছে সমাজ, সমসাময়িক বিশ্ব ও ইসলামী বিপ্লবের প্রতি।
সাক্ষাতের শুরুতে, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন সাইয়েদ আফতাব হায়দার আফ্রিকার বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
আপনার কমেন্ট