হাওজা নিউজ এজেন্সি: মজলিসে তিনি বলেন, "কারবালার প্রান্তরে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সাহসী সঙ্গীসাথীরা নিজের জন্য কখনো কাঁদেননি। কারণ শত্রুর সম্মুখে ক্রন্দন দুর্বলতা ও ভয়ের প্রকাশ, যা একজন ঈমানদারের জন্য শোভন নয়। তাঁরা শহীদ হয়েছেন আত্মমর্যাদা ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রেখেই।"
তিনি বলেন, "তবে ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর প্রতিটি সাথী শহীদ হওয়ার পর তাঁদের জন্য কেঁদেছেন। সেই কান্না ছিল ভালোবাসা, শোক এবং তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।"
হুজ্জাতুল ইসলাম রাজাভী এ সময় আহলে বাইতের (আ.) শত্রুদের একটি প্রচার প্রসঙ্গে বলেন, "তারা প্রশ্ন তোলে—কারবালায় যখন সঙ্গীসাথীরা কাঁদেনি, আমরা কেন কাঁদি? এর জবাবে আমাদের বলতে হবে: আহলে বাইতের কান্না ছিল কেবল আবেগ নয়, বরং তা ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার প্রতীক। ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) আমাদের শিখিয়েছেন, হুসাইন (আ.)-এর উপর ক্রন্দন মানে মজলুমের পক্ষে এবং জালিমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।"
তিনি আরও বলেন, "এই কান্না হচ্ছে একটি চেতনার বহিঃপ্রকাশ—যা মানুষের হৃদয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, এবং ন্যায়ের পথে অটল থাকার অনুপ্রেরণা জোগায়।"
আপনার কমেন্ট