হাওজা নিউজ এজেন্সি: জাতিসংঘ, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী, গাজা এখন শিশুদের জন্য "জীবন্ত কবরস্থান"। গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই শিশু, যাদের টার্গেট করছে ইসরাইল।
ইহুদি পণ্ডিতদের ঘৃণামূলক বক্তব্য
ইসরাইলি মন্ত্রীরা ও ইহুদি রাব্বিরা প্রকাশ্যে বলছেন: "গাজায় কোনও নিরীহ মানুষ নেই। প্রতিটি ফিলিস্তিনি শিশু জন্মের পরপরই সন্ত্রাসী। এমনকি মায়েদেরও হত্যা করো, কারণ তারা সন্ত্রাসী জন্ম দেয়।"
এই বক্তব্য যুদ্ধাপরাধকেও ধর্মীয় ছাড়পত্র দেওয়ার এক চরম উদাহরণ।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও ‘আমালেক’ নামক বাইবেলীয় শত্রুর প্রসঙ্গ টেনে শিশুদের হত্যাকে ধর্মীয়ভাবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
একটি প্রজন্ম ধ্বংসের পরিকল্পনা
গাজার এক মিলিয়ন শিশু মানে একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম—যাদের মনে আছে দেশ, অধিকার ও ইতিহাস। ইসরাইল এই ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে চায়, যাতে প্রতিরোধের আর কোনো সম্ভাবনা না থাকে।
শুধু তাৎক্ষণিক বোমা হামলা নয়, ইসরাইল অবরোধ, দুর্ভিক্ষ, চিকিৎসাহীনতা ও আতঙ্কের মাধ্যমে ধীরে ধীরে একটি সমাজকে নির্মূল করতে চায়।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
এ কৌশল নতুন নয়। ব্রিটিশরা ১৯৫০-এর দশকে কেনিয়ায় এবং ফ্রান্স আলজেরিয়ায় একই কৌশল প্রয়োগ করেছে—একটি জনগোষ্ঠীর প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য শিশু ও নারীসহ গোটা সমাজকে টার্গেট করা।
গাজার শিশুদের হত্যা শুধুই "কোল্যাটারাল ড্যামেজ" নয়। তারা প্রতিরোধ, শিক্ষা ও স্মৃতির প্রতীক। তাই বই হাতে একটি শিশু, দখলদারদের চোখে বোমার চেয়েও ভয়ংকর।
আপনার কমেন্ট