হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আবুতালিব আলী গাজী তার বক্তব্যে বলেন, ১৩৮৭ বছর পেরিয়ে গেলেও, কারবালার প্রান্তরে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর উত্তোলিত ন্যায় ও সত্যের পতাকা আজও সমানভাবে উজ্জ্বল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যখন তিনি মদিনা ত্যাগ করে কারবালার পথে যাত্রা করেন, তাঁর মূল মিশন ছিল-ন্যায়ের আদেশ, অন্যায় থেকে বাধা প্রদান, হক ও বাতিলের স্পষ্ট পরিচয় এবং বেলায়াতে আলী (আ.)-এর রক্ষা।
এই মহান আদর্শ একদিনের নয়, একযুগের নয়-বরং চিরন্তন। মিম্বার থেকে আজও আজাদারি তথা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর স্মরণসভায় এই বার্তাগুলিই উচ্চারিত হয়: ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, এবং বেলায়াতে আলীর প্রতি অবিচল নিষ্ঠা।
আজাদারির অংশ হিসেবে মিম্বার ও আলমের যে সম্মান-তা শুধু দুনিয়ার জন্যই নয়, বরং আখিরাতেও তার মর্যাদা অপরিসীম। বিশুদ্ধ হাদীসে উল্লেখ আছে, মহা বিচারের দিনে (ময়দানে মাহশার) একটি নূরানী মিম্বার থাকবে এবং "লাওয়াউল হামদ" নামের বিশেষ একটি পতাকা রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে আলী (আ.)-কে তুলে দেবেন।
এটি কেবল প্রতীক নয়, বরং সত্য ও ত্যাগের উত্তরাধিকার।
আমরা দেখি, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর জীবদ্দশায় প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে—বদর, উহুদ, খন্দক ও খাইবার-মাওলা আলী (আ.)-এর হাতে পতাকা তুলে দেন। সেই ধারাবাহিকতায় ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালার ময়দানে গাজী আব্বাস (আ.)-এর হাতে সেই পতাকা অর্পণ করেন।
সেই আলমের নিচে যারা ছিলেন, আছেন, থাকবেন-তাঁরাই প্রকৃত অর্থে নবীজির উম্মত।
আজকের যুগে আমাদের দায়িত্ব-নিজেকে ও পরিবারকে হোসাইনির লস্করের অন্তর্ভুক্ত রাখা। এটাই হকপন্থার পথ, এটাই মুক্তির দিশা।
ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালার উত্তপ্ত মরুভূমিতে তাঁর পবিত্র মাথা কেটে দিলেন, কিন্তু কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। বিশ্ববাসী আজ অবধি দেখছে—আলী ওয়ালারা কখনো জালিমের কাছে মাথা নত করেন না। বরং তারাই জুলুমের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আজকের উদাহরণ-ইরান, যেখানে হোসাইনির আদর্শে গড়ে উঠেছে জুলুমবিরোধী চেতনা, স্বাধীনতা, ও ঈমানের জ্যোতি।
আপনার কমেন্ট