হাওজা নিউজ এজেন্সি: বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিজয় ছিল জনগণের ঐক্য, ধৈর্য ও ঈমানের ফসল। তারা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর নেতৃত্বে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঐশী সহায়তায় বিজয়:
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক জাতীয় পরিস্থিতিকে হক ও বাতিল, ঈমান ও ঔদ্ধত্যের ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা হিসেবে চিত্রায়িত করে বলা হয়— “যখন দখলদার ইহুদিবাদী শাসন ও বৈশ্বিক ঔদ্ধত্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমের সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে, তখন আল্লাহ তায়ালার রহমতই ইরানের ওপর ছায়া ফেলেন এবং জাতিকে বিজয়ের পথে পরিচালিত করেন।”
বিজয়ের পাঁচ ভিত্তি চিহ্নিত করে বলা হয়:
১. ইসলামি ইরানের প্রতি আল্লাহর সহায়তা;
২. সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর দূরদর্শী নেতৃত্ব;
৩. কোম ও নাজাফের শীর্ষ মারজায়ে তাকলিদের সমর্থন;
৪. ইরানি জনগণের ঐক্য ও সাহসিকতা;
৫. ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগ ও বিশ্বে অনন্য নৈতিকতা।
ইসরায়েলের নিন্দা ও ব্যর্থতার ঘোষণা:
বিবৃতিতে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের “যুদ্ধাপরাধ”— যেমন সাধারণ নাগরিক, হাসপাতাল ও মানবিক সংস্থার ওপর হামলা— কঠোরভাবে নিন্দা করা হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, ইরানের অভ্যন্তরীণ শক্তি ও ঐশী সমর্থন এসব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে।
হাওজায়ে ইলমিয়ার র অঙ্গীকার:
এই বিজয়ের প্রেক্ষাপটে হাওজা পরিচালকরা তাদের করণীয় স্পষ্ট করেন এবং বলেন যে তারা—
- শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক জিহাদে অংশ নেবেন,
- সত্যনিষ্ঠ বিশ্লেষণ ও বিষয়বস্তুর মাধ্যমে ইসলামী সমাজকে জাগ্রত রাখবেন;
- ওয়ালিয়ে ফকীহ ও ইসলামি ঐক্য রক্ষায় সক্রিয় থাকবেন;
- শত্রুর মতাদর্শিক আগ্রাসন ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধে সচেষ্ট হবেন;
- বিপ্লবী, আদর্শবান দাঈ ও রক্ষক প্রজন্ম গড়ে তুলবেন, যারা দেশে-বিদেশে ইসলামি মূল্যবোধের প্রচারক ও রক্ষক হবে।
সমাপ্তি বার্তা: বিবৃতির শেষাংশে ইসলামি উম্মাহকে সজাগ, ঐক্যবদ্ধ ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সমন্বয় ও ঐক্যই বিজয়ের ধারাবাহিকতা ও ইসলামি বিপ্লবের পথকে অক্ষুণ্ণ রাখবে।
আপনার কমেন্ট