হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত দাউদ (আ.) ও হযরত হিযকিয়েল নবীর মধ্যে একটি আলোচনা বর্ণিত হয়েছে, যেখানে দুনিয়ার বাস্তবতা ও এর নশ্বরতা নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
হযরত দাউদ (আ.)-এর প্রশ্ন হযরত হিযকিয়েল নবীকে
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বর্ণনা করেন:
হযরত দাউদ (আ.) হযরত হিযকিয়েল নবীকে জিজ্ঞেস করলেন: তুমি কি কখনো কোনো গুনাহ করার ইচ্ছা করেছো?
তিনি বললেন: না।
তাহলে কি তুমি কখনো তোমার ইবাদতে অহংকার করেছো?
বললেন: না।
তাহলে কি তুমি কখনো দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকেছো এবং এর ভোগ-বিলাস ও কাম-বাসনা থেকে উপকৃত হতে চেয়েছো?
বললেন: হ্যাঁ, কখনো মনে এমন চিন্তা আসে।
হযরত দাউদ (আ.) জিজ্ঞেস করলেন: যখন এমন চিন্তা আসে তখন তুমি কী করো?
হিযকিয়েল নবী উত্তর দিলেন: আমি সেই উপত্যকায় চলে যাই এবং সেখানে থাকা জিনিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি।
শিক্ষামূলক দৃশ্য
হযরত দাউদ (আ.)-ও সেই উপত্যকায় গেলেন। সেখানে দেখলেন একটি লোহার সিংহাসন পড়ে আছে, যার ওপর একটি পচা খুলি ও ভাঙা হাড় রয়েছে। পাশে একটি পাথরের ফলকে কিছু লেখা ছিল।
হযরত দাউদ (আ.) সেটি পড়লেন। তাতে লেখা ছিল:
আমি উরওয়ি সালাম। আমি হাজার বছর রাজত্ব করেছি, হাজারটি শহর আবাদ করেছি, এবং হাজার নারীর সাথে বিবাহ করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার পরিণতি হলো—মাটি আমার বিছানা হলো, পাথর আমার বালিশ হলো, আর কৃমি-পোকা ও সাপ আমার প্রতিবেশী হলো। তাই যে-ই আমাকে দেখে, সে যেন দুনিয়ার ধোঁকায় না পড়ে।
সূত্র: বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৫
আপনার কমেন্ট