হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি শুক্রবার বৈরুতের দাহিয়ে এলাকায় আয়োজিত লেবাননের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য ও কৃষিপণ্য প্রদর্শনী “আরদি” (আমার ভূমি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, “দক্ষিণ লেবাননের জনগণই প্রকৃত সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তারাই নিজেদের ভূমি রক্ষায় অগণিত ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং শত্রুর আগ্রাসনের মুখে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।”
তিনি কৃষিকে ভূমি ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “দুঃখজনকভাবে, লেবাননের মোট রাষ্ট্রীয় বাজেটের মাত্র ০.৪৫ শতাংশ কৃষিখাতে বরাদ্দ করা হয়, যা আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য যথেষ্ট নয়।”
শেখ নাঈম কাসেম যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতার সমালোচনা করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কখনোই ইসরাইলি হামলা ও লেবাননের জনগণ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের নিন্দা জানায়নি। বরং তারা ইসরাইলি আগ্রাসনকে নীরবে সমর্থন করে যাচ্ছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইসরাইলের সব ধরনের অপরাধ, ধ্বংসযজ্ঞ ও আগ্রাসন আমাদের প্রতিরোধের ইচ্ছাশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারবে না। প্রতিরোধ আমাদের জাতীয় পরিচয়ের অংশ, যা কখনো নিভে যাবে না।”
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সেনাবাহিনীকে ইসরাইলি শত্রুর মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনার প্রশংসা করে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, “এটি জাতীয় দায়িত্ব পালনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় বার্তা।”
সাম্প্রতিক লেবাননি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে তারা লেবাননের সংকট নিরসনের চেষ্টা করছে, কিন্তু বাস্তবে তারা কোনো নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী নয়। যুক্তরাষ্ট্র আসলে আগ্রাসনকারীদের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং লেবাননে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দিতে চায়।”
শেখ নাঈম কাসেম দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাদের প্রতিরোধ ও স্থিতিশীলতার নীতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমরা আত্মসমর্পণ বা পরাজয়ের পক্ষে নই এবং কখনোই তা মেনে নেব না। ইসরাইল হয়তো কিছু সময়ের জন্য ভূমি দখল করতে পারে, কিন্তু তারা কখনোই সেই দখল ধরে রাখতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কারও নির্দেশে কাজ করি না এবং আমরা কখনোই অনুমতি দেব না যে, লেবাননের ভবিষ্যৎ শত্রুদের ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী গঠিত হোক। লেবাননের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে প্রতিরোধ, স্বাধীনতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে।”
আপনার কমেন্ট