শনিবার ১ নভেম্বর ২০২৫ - ১২:৪৬
“কুরআন-যথেষ্ট” সম্পর্কে আহলে সুন্নাতের আলেমদের দৃষ্টিভঙ্গি: হাদীস অস্বীকার বিপজ্জনক বিভ্রান্তি

কুরআন ও হাদীস একে অপরের পরিপূরক; ইসলামী শরিয়ত ও জীবনের পূর্ণতা এ দু’য়ের সমন্বয়েই নিহিত।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী চিন্তাধারায় এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হলো “কুরআন-বাসন্দগী” — অর্থাৎ যারা মনে করেন শুধু কুরআনই যথেষ্ট, হাদীস বা সুন্নাহর আর প্রয়োজন নেই। আহলে সুন্নাতের বিশিষ্ট আলেমরা এই মনোভাবকে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে গভীরভাবে ভ্রান্ত ও বিপজ্জনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

বই “ইসলামে ইমাম মাহদির প্রতি বিশ্বাস”-এর ২৯৮ নম্বর পৃষ্ঠায় এই প্রসঙ্গে আলেমরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, যদি কেউ কেবল এই কারণে ধর্মের কোনো নিশ্চিত সত্যকে অস্বীকার করে যে তা কুরআন মজিদে সরাসরি উল্লিখিত নয়, তবে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি অবস্থান। কারণ, যদি ধর্মীয় সত্য যাচাইয়ের একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে কুরআনের স্পষ্ট উল্লেখকেই ধরা হয়, তবে (নাউযুবিল্লাহ) নবী করিম (সা.)-এর হাদীসসমূহের আর কোনো প্রয়োজনই থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.)-এর একটি সহীহ হাদীসও উদ্ধৃত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— “এক সময় আসবে, যখন কিছু লোক তাদের আসনে হেলান দিয়ে বসবে। তাদের সামনে হালাল ও হারাম সম্পর্কে আমার হাদীস পাঠ করা হবে, কিন্তু তারা বলবে, ‘এইসব বাদ দাও, আমাদের কুরআন থেকে বলো।’ তোমরা এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।”

এই হাদীস স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, কুরআনের পাশাপাশি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহ বা হাদীসও ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কুরআন ও হাদীস একে অপরের পরিপূরক; ইসলামী শরিয়ত ও জীবনের পূর্ণতা এ দু’য়ের সমন্বয়েই নিহিত।

উপসংহার:
আহলে সুন্নাতের আলেমদের মতে, কেবল কুরআনকেই যথেষ্ট মনে করে হাদীস ও সুন্নাহকে উপেক্ষা করা ইসলামী শিক্ষার পরিপন্থী। ইসলামের প্রকৃত অনুসারী হতে হলে কুরআনের পাশাপাশি নবী করিম (সা.)-এর নির্দেশনাও সমান গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা জরুরি।

রিপোর্ট: হাসান রেজা 

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha