হাওজা নিউজ এজেন্সি: শেখ কাসেম মঙ্গলবার সংগঠনের শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
বক্তৃতার শুরুতে তিনি বলেন, “এই মহিমান্বিত দিনটিকে স্মরণ করার সর্বোত্তম উপায় হলো উম্মাহর শহীদদের সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর সেই বাণীকে মনে করা: ‘আমরা যখন শহীদ হই, তখনই বিজয়ী হই।’”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ সবসময় বলতেন, ‘আমাদের বিজয় শাহাদাতে নিহিত।’”
পরে তিনি উল্লেখ করেন, “হিজবুল্লাহর সামরিক প্রতিরোধ ৭৫ হাজার ইসরায়েলি সেনা ও কর্মকর্তাকে লেবাননে অনুপ্রবেশ থেকে বিরত রেখেছে।”
“২০০০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সেনাবাহিনী–জনগণ–প্রতিরোধের ঐক্যই প্রতিরোধের ভারসাম্য রক্ষা করেছে,” তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, “দক্ষিণ লেবাননে সেনাবাহিনীর মোতায়েন হিজবুল্লাহর পরাজয় নয়; বরং আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।” একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন যে “ইসরায়েল লেবাননের অভ্যন্তরীণ সব বিষয়ে হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।”
কাসেম বলেন, “লেবানন সরকার মনে করছে প্রতিরোধকে নিরস্ত্র করলে ইসরায়েলি বাহানাগুলো থেমে যাবে। কিন্তু শত্রু নতুন অজুহাত তৈরি করে লেবাননকে আক্রমণ চালিয়ে যেতে চায়।”
তিনি আরও জানান, “যুদ্ধবিরতি চুক্তি লিতানি নদীর দক্ষিণ অংশেই কার্যকর।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “লেবানন সরকারের উচিত ইসরায়েলি দখলদারিত্ব উৎখাতের জন্য উদ্যোগী হওয়া।”
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমরা অস্ত্র নামিয়ে রাখব না; এই অস্ত্রই আমাদের চুক্তির পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।”
হিজবুল্লাহ প্রধান আরও বলেন, “শত্রু আমাদের ধ্বংস করতে চায়। তাই এই হুমকির মুখে নিজেদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করার অধিকার আমাদের আছে। আমরা আমাদের ভূমি, পরিবার ও মর্যাদা রক্ষা করব এবং কখনো আত্মসমর্পণ করব না।”
তিনি বলেন, “হুমকি ও চাপ আমাদের আত্মরক্ষার পথ থেকে সরাতে পারবে না।”
শেখ কাসেমের ভাষ্যমতে, “ইসরায়েল মানুষের ঘরবাড়ি, যানবাহন ও জমিজমা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলের জীবনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।”
তিনি আরও জানান, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির ১৩০ দিনে এখন পর্যন্ত ৭১৭ জন নাগরিক—শিশু, নারী, পুরুষ ও প্রতিরোধকর্মী—শহীদ হয়েছেন।”
সবশেষে তিনি বলেন, “সবকিছুর পরও হিজবুল্লাহ কখনো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বারবার ইসরায়েলই চুক্তি ভঙ্গ করছে, অথচ এখনো কেউ কেউ দাবি করে সমস্যার উৎস নাকি লেবাননের পক্ষ।”
আপনার কমেন্ট