হাওজা নিউজ এজেন্সি: আজকের জটিল দুনিয়ায়, মানুষকে নিজের জীবন পর্যালোচনা করা এবং মুহূর্তগুলো মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। নিজের কাজের হিসাব নেওয়া শুধু সচেতনার পরিচয় দেয় না, এটি নিজেকে চেনার ও সঠিক পথে চলার নির্দেশক হিসাবেও কাজ করে।
নিজের হিসাব নেওয়ার গুরুত্ব
আয়াতুল্লাহ আল-উজমা বাহজাত (রহ.) বলেন, “আমাদের উচিত হিসাব নেওয়া; যদিও আমরা তাওবা না করি বা প্রস্তুতি নেই, হিসাব নেওয়াই একটি মহৎ কাজ।”
অর্থাৎ, যদি আমরা জানি কোন দিন আমরা হুসাইনি এবং কোন দিন ইয়াজিদি, তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক ভালো যে আমরা অন্তত নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন, যেন আমরা অজ্ঞতার অন্তর্গত না থাকি।
সম্ভবত একদিন আমরা নিজেকে জাগ্রত করব এবং পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেব। কিন্তু নিজের ত্রুটি ও অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন না হলে, প্রতিদিনের হিসাব নেওয়া অসম্ভব হয়ে যায়, মানুষকে সংশোধন করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
নিজের ত্রুটি সংশোধন করা— অন্যকে সংশোধনের পূর্বশর্ত
আয়াতুল্লাহ আল-উজমা বাহজাত (রহ.) গুরারুল হিকামের উদ্ধৃত করেছেন,
أَفْضَلُ الناسِ مَنْ شَغَلَتْهُ مَعایبُهُ عَنْ عُیوبِ الناسِ
— “সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সেই ব্যক্তি, যার নিজের ত্রুটি ও দোষ তাকে অন্যের ত্রুটিতে ব্যস্ত হতে দেয় না।”
(গুরারুল হিকামের- ৩০৯০)
অর্থাৎ, আমাদের প্রথম কাজ হলো নিজের ত্রুটি ও অভ্যাস চিহ্নিত করা এবং সংশোধন করা। যদি আমরা নিজেকে সংশোধন করতে না পারি, অন্যকে সংশোধনের যোগ্যতাও অর্জন করা সম্ভব নয়।
উৎস: আয়াতুল্লাহ আল-উজমা বেহজত (রহ.), দা’র মাহজারে বাহজাত, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৪২৭; গুরারুল হিকাম: ৩০৯০
আপনার কমেন্ট