হাওজা নিউজ এজেন্সি: খালিজে ফার্স হাসপাতাল এবং শহীদ মোহাম্মদি হাসপাতাল–এ স্থাপিত এ উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর উদ্বোধন করেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার (AEOI) প্রধান মোহাম্মদ ইসলামী। এগুলো ঠান্ডা প্লাজমা প্রযুক্তিনির্ভর ক্ষত-চিকিৎসা কেন্দ্রের ১০ম ও ১১তম ইউনিট হিসেবে চালু হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা জানান, এই বিশেষ প্রযুক্তি একটি নিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বাতাসসহ নির্দোষ গ্যাসকে অ-তাপীয় (কোল্ড) প্লাজমা–তে রূপান্তরিত করে। চিকিৎসা কার্যক্রমের সময় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস–এর মধ্যে রাখা হয়, যা রোগীর টিস্যুতে দাহ বা ক্ষতি প্রতিরোধ করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পারমাণবিকভিত্তিক প্লাজমা প্রযুক্তি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার জীবাণুনাশক দক্ষতা প্রদর্শন করে, যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত নিরাময়ে কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামী উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “ঠান্ডা প্লাজমা প্রযুক্তি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অনন্য উদাহরণ। ইরানি গবেষকদের প্রচেষ্টায় এই প্রযুক্তির সম্পূর্ণ দেশীয়করণ আমাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “অ-আক্রমণাত্মক ও ব্যথাহীন এই আধুনিক পদ্ধতি দীর্ঘস্থায়ী ও ডায়াবেটিক ক্ষত চিকিৎসার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করবে এবং চিকিৎসাসেবাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।”
দেশে এ প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন ইরানকে ব্যয়বহুল বিদেশি যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভরতা থেকে মুক্ত করেছে। একইসঙ্গে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাজনিত সীমাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক জটিলতাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আপনার কমেন্ট