মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১১:০০
প্রতিটি ব্যথিত হৃদয় একজন সহমর্মী শ্রোতার প্রত্যাশী

মন যখন দুঃখে ভরে ওঠে, তখন তা প্রকাশ করা জরুরি হয়ে পড়ে। বিশ্বস্ত ও সৎ মানুষের সাথে কথা বললে মানসিক চাপ কমে, মন হালকা হয়। আর যখন কাছে এমন কেউ থাকে না, তখন ধৈর্য ধরে নীরব থাকাও এক প্রকার সমাধান।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের প্রখ্যাত নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক শিক্ষক আয়াতুল্লাহ আজিজুল্লাহ খুশওয়াকত 'দুঃখ ও চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়' বিষয়ে যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তা নিম্নরূপ:

প্রশ্ন: যার হৃদয় দুঃখ-চিন্তায় ভরপুর, তার করণীয় কী?

উত্তর: “মানুষ যখন দুঃখ ও উদ্বেগে আক্রান্ত হয়, তখন প্রথমেই এটা বুঝতে হবে যে এই ভারের প্রতিকার সম্ভব।
১. বিশ্বস্ত মানুষের সাথে আলাপ: সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিগুলোর একটি হলো কোনো সৎ ও বিশ্বস্ত মানুষের সাথে মন খুলে কথা বলা। একজন ভালো মানুষের সাথে আধঘণ্টা কথোপকথনও হৃদয়ের বহু ভার লাঘব করতে পারে।
২. নিরবে ধৈর্য্য ধারণ: যদি কাউকে কাছে না পাওয়া যায় বা পরিস্থিতি অনুকূল না হয়, তবে ধৈর্যের সাথে নীরব থাকা যায়। সময়ের সাথে সাথে মানসিক চাপ কমতেও থাকে।
৩. অভিজ্ঞতার আলোকে: তবে এটা প্রমাণিত যে, একজন সহানুভূতিশীল ও মনোযোগী শ্রোতার সাথে আলোচনা মানুষকে দুঃখের বোঝা থেকে দ্রুত এবং স্থায়ীভাবে মুক্তি দিতে পারে।”

দুঃখ প্রকাশের মাধ্যম খুঁজে নেওয়াই হলো স্বস্তির প্রথম ধাপ। কথার মাধ্যমে হৃদয় হালকা করা যায়, অথবা ধৈর্য্যের মাধ্যমে কালের সান্ত্বনা নেওয়া যায়– দুই পথই মানবিক, দুই পথই মুক্তির।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha