হাওজা নিউজ এজেন্সি: এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে হাজারো কোরআনপ্রেমীর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মাদি বলেন, কোরআনভিত্তিক আন্তর্জাতিক আয়োজনে বাংলাদেশ অন্যতম সক্রিয় দেশ এবং প্রতিবছর এখানে একাধিক আন্তর্জাতিক কোরআনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ও কার্যকর সহযোগিতা বিদ্যমান। সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত ইরানি কোরআন মহাফিলে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। এ সম্মেলনেও ইরানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী মেহদি গোলামনেজাদক অংশ নিচ্ছেন এবং তেলাওয়াত পেশ করবেন।
ইরানি সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর আরও বলেন, এ ধরনের প্রভাবশালী কোরআনি আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো পবিত্র কোরআনের জীবনগঠনী ও কল্যাণকর শিক্ষাকে গভীরভাবে বোঝা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। বর্তমানে মুসলিম উম্মাহ যে নানামুখী সংকটে আক্রান্ত—যা অনেকাংশেই ইসলামবিরোধী শক্তির চাপিয়ে দেওয়া—তা থেকে উত্তরণে কোরআনের নির্দেশনা অনুসরণ অপরিহার্য।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আজ মুসলিম বিশ্বের প্রধানতম ইস্যু ফিলিস্তিন ও গাজা। এই দীর্ঘদিনের ক্ষত শুধু কোরআনের ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিবর্ধক শিক্ষাকে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই নিরাময় সম্ভব। ইনশাআল্লাহ, ইসলামী প্রতিরোধের শক্তি ও কোরআনের আদর্শ অনুসরণ করে ফিলিস্তিন অবশেষে মুক্ত হবে এবং এই পবিত্র ভূমি জায়নিস্ট দখলমুক্ত হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ইরান, মিসর, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ থেকে আগত ক্বারীগণ তেলাওয়াত করেন। এ পর্যায়ে ইরান থেকে আগত আন্তর্জাতিক ক্বারী মেহদি গোলামনেজাদের তেলাওয়াত বিশেষ প্রশংসা অর্জন করে।
দুই সপ্তাহব্যাপী এ সম্মেলনের পুরো সময়জুড়ে অংশগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক ক্বারীগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ‘কোরআন ট্যুর’-এর অংশ হিসেবে একাধিক তেলাওয়াত মাহফিলে অংশ নেবেন।
আপনার কমেন্ট