হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের অভিযানের মুখে দেশটির স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতন ঘটে। আসাদের পতনের পর থেকেই সিরিয়াতে অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশ ইসরায়েল।
দেশটির সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যকার বাফার জোন থেকে এগিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে স্থলবাহিনী মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এতো আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের পরও এতদিন কোনো মন্তব্য করেনি সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতা। অবশেষে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে জবাব দিয়েছেন ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি।
গতকাল শনিবার ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সম্পর্কে কথা বলেছেন তিনি। খবর রয়টার্স।
সিরিয়ার টিভি নিউজ চ্যানেলের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, আল-জোলানি বলেন, ইসরায়েল সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর জন্য ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিথ্যা অজুহাত ব্যবহার করছে। সাম্প্রতিক আইডিএফ সিরিয়ার মাটিতে হামলা লাল রেখা অতিক্রম করেছে এবং এই অঞ্চলে একটি অযৌক্তিক উত্তেজনা বৃদ্ধির হুমকি দিয়েছে।
সিরিয়ায় ইসরায়েলের ক্রমাগত আগ্রাসনের পরেও নতুন করে কোনো সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নয় জানিয়ে জোলানি আরও বলেন, ‘বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়া পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করছেন তারা।’
তিনি বলেন, ‘সিরিয়া যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এখানে বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত চলছে। আর নতুন সংঘাত চাই না। আরো ধ্বংস ডেকে আনে, এমন কোনো বিরোধে জড়াতে চাই না। এই পর্যায়ে অগ্রাধিকার হল পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা।'
এই বিদ্রোহী নেতা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং উত্তেজনা এড়ানোর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ হলো কূটনৈতিক সমাধান। বেহিসাবি সামরিক অভিযান কাম্য নয়।‘
আপনার কমেন্ট