হাওজা নিউজ এজেন্সি: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তেহরানে সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-খারাজি এবং চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়াও দে–এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এর আগে আরাকচির উপমন্ত্রী মজিদ তাখ্ত-রাভানচি তাঁর চীনা ও সৌদি সমকক্ষদের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।
পরবর্তী বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক বিষয়ে চীনের গঠনমূলক ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সুপ্রতিবেশী নীতির ভিত্তিতে ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর—বিশেষ করে সৌদি আরবের—সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তারে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রসঙ্গে তিনি তেহরান–রিয়াদ সম্পর্কের ক্রমোন্নয়ন এবং বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের নিয়মিত পরামর্শের কথা উল্লেখ করেন।
চীনের আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও বহুপাক্ষিকতার পক্ষে ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে আরাকচি বলেন, ইরান ও চীন দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করতে তাদের সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, অঞ্চলে স্থায়ী নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক সব দেশের সম্মিলিত সহযোগিতা অপরিহার্য। তাঁর ভাষায়, ইরান এমন এক শক্তিশালী ও স্থিতিশীল অঞ্চল চায়, যা অঞ্চল-বহির্ভূত কিছু শক্তির ক্ষতিকর হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকবে।
চীন ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের প্রধানগণ তৃতীয় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের জন্য ইরানের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং দুই দেশই ইরানের সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক বিস্তারের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন।
আপনার কমেন্ট