হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিস্তিন আজ এমন একটি জাতি যা মানুষদের মধ্য থেকে সত্যিকারের মানবতাবাদীদের আলাদা করে দিচ্ছে। অনেক মুসলিম বিস্ময় প্রকাশ করছেন—এত মুসলিমের মাঝে হজরত ফাতিমা (সা.)-এর গালে চড় মেরেছে, অথচ মুসলমানরা কিছুই করেনি? কারবালায় শিশুদের ওপর মুসলমানদের উপস্থিতিতেই নির্যাতন চালানো হয়েছে।
দেখুন! এভাবেই নির্যাতন চালানো হয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত ৫৭টি দেশের সরকার মুসলমানদের হাতে থাকলেও, আন্তর্জাতিক শক্তিক্ষেত্রে মুসলমানদের সক্রিয়তা সত্ত্বেও, ফিলিস্তিনি মুসলিম সম্প্রদায় আজ নিঃসঙ্গ ও নির্যাতিতের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। লজ্জাজনক এই পরিস্থিতিতে মুসলিম শাসকদের লজ্জাহীনতা চোখে পড়ার মতো।
ফিলিস্তিন আজ তার আর্তনাদ দিয়ে বিশ্বকে জানান দিচ্ছে: "দেখো, তোমাদের মধ্যে কতজন প্রকৃত মানুষ আর কতজন নরাকার মূর্তি!" এসব মূর্তির কাছে আশা ও ভরসা করা সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়। এখন সময় নিজ দায়িত্ব পালনের। শাসকদের পেছনে না ফেলে জনগণের মাঠে নামার সময়। নিজের প্রতিটি দক্ষতা ফিলিস্তিনের পক্ষে কাজে লাগানোর সময়।
যতক্ষণ শেষ মুহূর্ত না পার হয়, ততক্ষণ...
আত্মা ও নীতিহীনতার এই যুদ্ধে আপনার অস্ত্র তুলে নিন। লিখুন, বলুন, পড়ুন, কবিতা রচনা করুন, ভিডিও বানান, টুইট করুন, পোস্ট শেয়ার করুন—সোশ্যাল মিডিয়াকে ফিলিস্তিনের সংকটে ভরিয়ে দিন। যা করতে পারেন, তাই করুন। আপনার প্রতিটি প্রতিভাকে সত্য ও মিথ্যার এই লড়াইয়ে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করুন।
ইমাম আলী (আ.)-এর সেই উপদেশ স্মরণ করুন, যেখানে তিনি বলেছিলেন: "অত্যাচারীর শত্রু ও নির্যাতিতের মিত্র হও।" ফিলিস্তিন আজ সেই উপদেশের জীবন্ত পরীক্ষা। প্রশ্ন হলো—কে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে?
আপনার কমেন্ট