হাওজা নিউজ এজেন্সি: উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় ইমাম আলী (আ.) পবিত্র মাজার প্রাঙ্গণে গাদীরের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে, যা ইমাম আলী (আ.)-এর প্রতি বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন পবিত্র মাজারের তত্ত্বাবধায়ক সাইয়্যেদ ঈসা আল-খারসান, তাঁর উপতত্ত্বাবধায়ক, বোর্ডের সিনিয়র সদস্যবৃন্দ, মাজারের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ, হাওজা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নজাফ প্রদেশের কর্মকর্তারা এবং বিপুল সংখ্যক আগত যিয়ারতকারীরা।
সাইয়্যেদ আল-খারসান ও মাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ব গাদির সপ্তাহের সূচনা করেন, যা এক সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক অনুষ্ঠানের সূচক।
আন্তর্জাতিক প্রসার ও প্রতীকী তাৎপর্য
আল-খাদিম মিডিয়া বিভাগের প্রধান হায়দার রহীম বলেন,
“আমরা গর্বিত যে বিশ্ব গাদির সপ্তাহের প্রথম দিন ইমাম আলী (আ.)-এর মাজার থেকে গাদিরের মহান পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু করতে পেরেছি। একইসঙ্গে কুরআন ও ঐশী নিদর্শন প্রদর্শনীও শুরু হয়েছে।”
তিনি জানান, এ বছর ইরাকের ভেতরে ও বাইরে গাদির সপ্তাহের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতিফলন।
আরও বলেন, “ইরাকের ২০টিরও বেশি স্থানে গাদির পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে তা বিতরণ করা হবে,” এটি গাদিরের সার্বজনীন বার্তা ও ঈশ্বরনির্ধারিত নেতৃত্বের মূলনীতিকে প্রতিফলিত করে।
বিশ্ব গাদির সপ্তাহের আওতায় থাকছে:
গবেষণামূলক সেমিনার ও আলোচনা
কুরআন মাহফিল ও প্রদর্শনী
সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও শৈল্পিক অনুষ্ঠান
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের বিশেষ কাভারেজ
এই সপ্তাহের মূল লক্ষ্য হলো ইমামত ও ওয়ালায়াতের (ঈশ্বরনির্ধারিত নেতৃত্ব) বার্তা সুদৃঢ় করা এবং গাদির খুমে রাসূলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক ইমাম আলী (আ:)-কে উত্তরাধিকার ঘোষণা করার ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করা।
আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব গাদির সপ্তাহ এক বৈশ্বিক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে, যা আহলুল বাইত (আ.)-এর চেতনায় ঐক্য, অনুপ্রেরণা ও অঙ্গীকার পুনরুদ্ধারের উৎসব হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে।
আপনার কমেন্ট