হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব আজ নৈতিক ও মানবিক সংকটের এক গভীর অতলে নিপতিত। যুদ্ধ, দুঃখ, অনাহার আর অবিচারের হাহাকার যখন চারিদিকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে—বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নিষ্পেষিত শিশু ও মানুষের আর্তনাদ যখন বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিতে ব্যর্থ হচ্ছে—তখন একজন প্রকৃত মুমিনের অন্তরে জেগে ওঠে একটি গভীর প্রশ্ন: এই অন্যায়ের অবসান কোথায়?
রাজা আলীর "মারেফাত" শীর্ষক এই কবিতাটি ঠিক সেই মুহূর্তেই পাঠককে নিয়ে যায় আত্মজিজ্ঞাসা, ঈমান, এবং ইমামের আগমনের প্রতীক্ষার অলিন্দে। কবিতার প্রতিটি চরণ যেন একেকটি বার্তা—একটি আহ্বান—ইমাম মাহদী (আ.)-এর আগমনের প্রস্তুতির দিকে, আল্লাহর পথের দিকে, এবং মারেফাত বা গভীর আত্মিক উপলব্ধির দিকে।
এই কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে যুগের বাস্তবতা এবং আখিরি জামানার প্রতীক্ষিত মুক্তির বার্তা। পাঠকের হৃদয়ে বিশ্বাস, বেদনা ও প্রত্যাশার এক অনন্য মিশ্রণ গেঁথে দিয়ে, এটি কেবল একটি কবিতা নয়—বরং একটি আত্মঘন আহ্বান।
মারেফাত
-রাজা আলী
ঐ দেখ,ওদিকে
হাহাকার
পীড়িত ফিলিস্তিনি
দুঃখ ভার।
অনাহারে মারা যায়
শিশু সব
অসহায় মানুষের
কলরব।
গাজা আজ শ্মশানের
অনুরূপ
তথাকথিত মানবতা
নিশ্চুপ ।
পৃথিবী চলছে আজ
একপেশে
মাহদী আঃ আসবেন
অবশেষে ।
জানো এর শেষে কি
তোমারা সব?
এমামের আবির্ভাব
করাবেন রব ।
শোনো শোনো মুমিনিন
তৈরি হও
এমামের অপেক্ষার
তরী ব'ও।
"আনা বাকিয়াতুল্লাহ"র ধ্বনি
সন্নিকটে
সর্বদা ইমাম আঃ কে রাখো
হৃদয় পটে।
ইমামের আবির্ভাবে
মুক্তি
জালিমের শেষ হবে
শক্তি ।
প্রয়োজন এখন শুধু
এবাদত
হৃদয়ে আনো এমামের
মারেফাত ।
০৪.১০.২০২৪
আপনার কমেন্ট