হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, ধ্বংসস্তূপে ভরা শহর, শরণার্থীর দীর্ঘশ্বাস—এই প্রেক্ষাপটে কাসেম সোলাইমানি হয়ে উঠেছিলেন এক প্রতিরোধের প্রতীক। তিনি শুধু ইরানের সেনাপতি ছিলেন না, বরং সিরিয়া, ইরাক, ফিলিস্তিন—সব জায়গায় নিপীড়িত মানুষের জন্য ছিলেন এক দৃঢ় আশ্রয়। তাঁর অকাল প্রস্থান যেন প্রতিরোধের আকাশ থেকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র খসে পড়া। রাজা আলীর এই কবিতায় সেই শূন্যতা, সেই বেদনা ও সেই অদম্য প্রতিরোধ-চেতনার কথা ফুটে উঠেছে; যা আজও ধ্বনিত হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমধ্যসাগরের বাতাসে।
কাসেম সোলাইমানি
-রাজা আলী
সিরিয়া আজ ধুঁকছে
বন্ধুকে আজ খুঁজছে
হে কাশেম,অভাব তোমার
সিরিয়ান রা ভালোই বুঝছে।
তুমি চুপি চুপি চলে গেলে
কিছু বলে, কিছু না বলে
তুমি ছিলে মুক্তিদাতা সিরিয়ার
তোমার অভাব ওরা বুঝছে।
তুমি ইরানি, কিন্তু শুধু ইরানের নও
ফিলিস্তিন,ইরাকের পতাকা ওড়াও
বুঝবে একদিন তোমাকে বুঝবে
তোমার আদর্শকেই ওরা খুঁজবে।
প্রতিরোধ ছাড়া মুক্তি আজ স্বপ্ন
ভালো সাজলে শত্রুরা ভাবে রুগ্ন
তাই লাঠির বদলা শুধু ই লাঠি
নেড়েছিলে প্রতিরোধের কলকাঠি।
হে বীর,তোমার অভাব আজ বড়ো
প্রতিরোধ আন্দোলন হোক জড়ো
তোমার রক্তে রঞ্জিত ইরাকের মাটি
কারবালা তেই বিপ্লব হয়েছিল খাঁটি।
১১.০৩.২৫
আপনার কমেন্ট