تیتر سه زیرسرویس
-
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী হলেন শিয়া জগতের সবচেয়ে বড় লাল রেখা
মুজাহিদ ও মুক্তচিন্তার আলেম, সাইয়্যেদ মাহদি মোসাভি বাহরাইনি বলেন: মর্যাদাবান ইমাম খামেনেয়ী, ইমাম মাহদী (আ.জ.)-এর পর শিয়া জগৎ, ইসলাম ও বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের সবচেয়ে বড় লাল রেখা।
-
যে আমল আয়ু ও রিজিক বৃদ্ধি করে!
ইসলাম কেবল ইবাদতের ধর্ম নয়, এটি মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক দায়িত্ব ও নৈতিকতার ধর্মও বটে। পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা—বিশেষ করে আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় করা—এমন একটি কাজ যা শুধুই পার্থিব শান্তি নয়, আখিরাতেও কল্যাণ বয়ে আনে।
-
ইমাম হুসাইন (আ.)— উম্মতের নাজাতের নৌকা
ইতিহাসের প্রতিটি সঙ্কটময় সন্ধিক্ষণে মানবতা যখন পথহারা, তখন আলোর দিশারূপে আবির্ভূত হয়েছেন আল্লাহর হুজ্জতরা। সেই ধারাবাহিকতায় ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এক সুগভীর হাদীসে ইমাম হুসাইন (আ.)-কে উম্মতের নাজাতের ভরসাস্থ নৌকা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন—যাঁর অনুগমনই হেলায় পতনের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিরাপত্তা।
-
হযরত আব্বাস (আ.)-এর মর্যাদা: শহীদদের আকাঙ্ক্ষার উৎস
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বিশ্বস্ত সহচর ও কারবালার বীর, হযরত আবুল ফজলিল আব্বাস (আ.) কেবল এক সাহসী যোদ্ধাই ছিলেন না, বরং ইমান, ফিদাকারি ও আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কারবালার ময়দানে তাঁর আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠা এমন এক উচ্চতর মর্যাদায় পৌঁছায়, যার স্বীকৃতি পাওয়া যায় স্বয়ং ইমামদের বাণীতে। ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) তাঁর এক গভীর মূল্যবান হাদীসে হযরত আব্বাস (আ.)-এর মর্যাদার যে বিবরণ দিয়েছেন, তা আমাদের জন্য চিন্তা, শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার এক অনন্য শিক্ষা।
-
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জিয়ারতের নজিরবিহীন ফজিলত
ইবাদতের মধ্যে এমন কিছু আমল রয়েছে, যেগুলোর ফজিলত আল্লাহর দরবারে অত্যন্ত মহৎ ও মর্যাদাসম্পন্ন। তন্মধ্যে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পবিত্র কবরের জিয়ারত এমন এক বিশেষ ইবাদত, যার ফজিলত সম্পর্কে ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন— এটি মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে আদায় করা শত কবুল হজের সওয়াবের সমতূল্য!
-
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসা শুধু আবেগ নয়, বরং তা এক মহান আমল, যার জন্য আল্লাহ তায়ালা অপরিসীম প্রতিদান রেখেছেন। ইমাম সাদিক (আ.)-এর এক হাদীসে হুসাইন (আ.)-এর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সামান্য দানকেও অপার সওয়াবের উৎস বলা হয়েছে।
-
কিয়ামতের দিন ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সঙ্গ লাভের সহজ ও মহৎ উপায়
ইমাম হুসাইন (আ.) শুধু কারবালার এক মহান শহীদ নন, বরং তিনি হলেন মানবতার মুক্তির প্রতীক, যাঁর স্মরণ মুমিনের আত্মা শুদ্ধ করে এবং হৃদয় আলোকিত করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ কাজের মাধ্যমেও তাঁর সান্নিধ্য অর্জন করা সম্ভব—এমনই এক আশাজাগানিয়া বার্তা দিয়েছেন ইমাম জাফর সাদিক (আ.)।
-
যে কান্না ও আহাজারি পাপের ভার হালকা করে
মানবজীবনে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া ও আত্মার পরিশুদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ইসলাম আমাদের সামনে তওবা, ইবাদত ও নেক আমলের পাশাপাশি এমন কিছু হৃদয়স্পর্শী মাধ্যমও তুলে ধরেছে, যেগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়। এমনই এক অনন্য মাধ্যম হলো—হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জন্য সত্যিকারের কান্না করা।
-
মুমিনের হৃদয়ের যে উত্তাপ কখনও নিভে যাবে না
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এক হৃদয়বিদারক বাণীতে ইরশাদ করেছিলেন যে, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাত মুমিনদের হৃদয়ে চিরন্তন এক জ্বলন্ত উত্তাপ সৃষ্টি করবে, যা কখনো নিভবে না।
-
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জিয়ারতের আকাঙ্খা ও আকুলতা
ইসলামের ইতিহাসে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর আত্মত্যাগ শুধু একটি বিপ্লব নয়, বরং এক বিশুদ্ধ ঈমানের মাইলফলক। আহলে বাইতের (আ.) প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং কারবালা-ভূমির সাথে আত্মিক সংযোগ মুমিন হৃদয়ে এমন একটি আকুলতা সৃষ্টি করে যা সীমাহীন ফজিলত ও আত্মিক উন্মেষের পথ উন্মোচন করে।