হাওজা নিউজ এজেন্সি, আয়াতুল্লাহ মাহমুদ রাজাবী "ইসলামী মানববিদ্যা দিবস" উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সম্মেলন ও আয়াতুল্লাহ মিসবাহ ইয়াজদি (রহ.)-এর স্মরণসভায় ভাষণ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, কুরআন কারিমে কিছু বিষয়কে স্মরণ রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং সর্বপ্রথম যে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তা হলো স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার স্মরণ।
ইমাম খোমেনি (রহ.) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান আরও বলেন, দ্বিতীয় যে বিষয়টির স্মরণ রাখতে কুরআনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে, তা হলো আল্লাহর অলিদের স্মরণ। কুরআনের বিভিন্ন স্থানে নবী ও আল্লাহর অলিদের কথা বলা হয়েছে, এমনকি মহিমান্বিত নারীদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ তারা মানবতার প্রকৃত পথপ্রদর্শক, এবং তাদের স্মরণ জীবিত রাখা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি বলেন, আল্লাহর দেওয়া অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো "নিয়ামতে বেলায়াত"। কুরআনের আয়াত «ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ یَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ» (অর্থাৎ, সেদিন তোমাদের নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে) অনুযায়ী, বহু রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে এই আয়াতে উল্লিখিত নিয়ামত মূলত "নিয়ামতে বেলায়াত"। যদি আমাদের কাছে এই নিয়ামত থাকে, তবে আমরা কিয়ামতের দিন সফল হবো।
হাওজা ইলমিয়ার সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহ, নবী-অলিদের শিক্ষা এবং ওহির প্রত্যেকটি দিক আমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই। রেওয়ায়েত অনুযায়ী, প্রকৃত আলেম তিনিই, যাকে দেখে মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করে, এবং আল্লামা মিসবাহ (রহ.) সত্যিকার অর্থে এমন একজন আলেম ছিলেন।
আয়াতুল্লাহ রাজাবী আরও বলেন, আল্লামা মিসবাহ (রহ.) আমাদের সমাজের জন্য বহু দিক থেকে এক মহান নিয়ামত ছিলেন। ইমাম খোমেনি (রহ.) ইনস্টিটিউট যদি কোনো সাফল্য অর্জন করে থাকে, তবে তা তাঁর পবিত্র সত্তার বরকতেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষে বলেন: আয়াতুল্লাহ মিসবাহ (রহ.)-এর বক্তব্য সর্বদা কুরআন ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে ছিল, এবং তিনি এসব শিক্ষাকে এমনভাবে উপস্থাপন করতেন যাতে আমরা সহজেই বুঝতে পারি। তিনি প্রকৃত আওলিয়ায়ে আল্লাহর উদাহরণ ছিলেন, কারণ তিনি সত্যিকার অর্থেই নিজের জীবনকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।
আপনার কমেন্ট