হাওজা নিউজ এজেন্সি: বুধবার মারকাজি প্রদেশে পয়গম্বরে আ’জম (দ্য গ্রেট প্রফেট) ১৯ নামক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়া আইআরজিসি ইউনিট এবং বাসিজ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালামি বলেন, ইরানের প্রকৃত শক্তি বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শত্রুদের ইরানের আঘাত সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। গত বছর ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলে পরিচালিত অপারেশন ট্রু প্রমিস ১ এবং ২-এ এর নমুনা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, “ইরান একটি একক ও শক্তিশালী সত্তা, যা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে পারে। ইরান শক্তিশালী এবং শত্রুরা এখনও ইরানের কাছ থেকে গুরুতর আঘাত পায়নি। ট্রু প্রমিস অপারেশনে তারা এখন পর্যন্ত যা দেখেছে, তা কেবল একটি সতর্কতা এবং প্রোটোটাইপ ছিল।”
সালামি আরও বলেন, “যদি শত্রুরা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ৪৬ বছরের ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয় এবং তাদের দুষ্টতা চালিয়ে যায়, তাহলে তাদের সেই অপমান এবং লজ্জার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত, যা তারা গত ৪৬ বছরে অনুভব করেছে। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান নিজ গতিতে এগিয়ে চলেছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র এমন একটি চিন্তাধারা ও আদর্শ মেনে চলে, যা শত্রুরা কেড়ে নিতে সক্ষম নয়। সংগ্রাম, স্বাধীনতা এবং মুক্তির মতো ধারণাগুলি এর চিরন্তন আদর্শ।
সালামি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ইরানি জনগণকে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল এবং কঠোর মনস্তাত্ত্বিক অপারেশনের মাধ্যমে জাতিগুলির হৃদয়, বিশেষ করে ইরানকে নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা যে পরিস্থিতিই তৈরি করেছিল, তার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটন এবং তেল আভিভ গাজা উপত্যকা এবং অবরুদ্ধ অঞ্চলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত বছর জুলাই এবং অক্টোবরে ইরান জায়নবাদী সত্তার সামরিক ও গোয়েন্দা এবং গুপ্তচর ঘাঁটিগুলির দিকে ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টি ছুড়েছিল। এই অপারেশনগুলি গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এবং হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ এবং আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস নিলফরোশানের হত্যার জবাবে পরিচালিত হয়েছিল।
সালামির এই বক্তব্য ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি এবং কৌশলগত অবস্থানকে আরও সুদৃঢ়ভাবে তুলে ধরে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিসরে ইরানের ভূমিকা সম্পর্কে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করতে পারে।
আপনার কমেন্ট