হাওজা নিউজ এজেন্সি: যাহরা এলহিয়ান গতকাল রাতে তেহরানের মুসাল্লায় অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রদর্শনীতে “নারী ও তৃতীয় মডেল” শীর্ষক বিশেষ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "”বর্তমান সমাজে নারীরা সবচেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠী।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের প্রয়োজন একজন ইরানি মুসলিম নারীর আদর্শ মডেল বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করা। বর্তমান বিশ্ব, বিশেষ করে নারী সমাজ, পূর্বের ঐতিহ্য থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এবং তারা একটি নতুন মডেল ও উদাহরণ খুঁজছে।”
ইরানের প্রাক্তন সংসদ সদস্য বলেন, “ইসলামী বিপ্লবের পরবর্তী বছরগুলিতে ইরানি মুসলিম নারীরা দৃঢ়তা ও স্থিরতার সাথে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছেন। আমাদের নারীরা ব্যক্তিত্বের বিকাশ, জ্ঞান অর্জন ও সংগ্রামের মাধ্যমে এমন একটি স্তরে পৌঁছেছেন যে তারা বিশ্বব্যাপী ইরানি মুসলিম নারীকে পরিচয় করিয়ে দিতে সক্ষম।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানি নারীদের সংগ্রাম লেবাননের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। আজ গাজায় পশ্চিমা সভ্যতার প্রদর্শনী ভেঙে পড়েছেএবং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পশ্চিমা বিশ্ব শুধু মানবাধিকার সম্পর্কে ফাঁপা বুলি দিয়েছে।”
এলহিয়ান বলেন, “গাজায় তথাকথিত মানবাধিকার ও নারী অধিকারের কোনো মূল্য নেই। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “ইসলামী বিপ্লব ও ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর চিন্তাধারার সাফল্য ছিল নারীদেরকে একটি নতুন পরিচয় ও মর্যাদা প্রদান করা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “পশ্চিমা শক্তি প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ইরানি নারীর অবস্থানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরানি মুসলিম নারীদের দৃঢ়তা ও সংগ্রামের মাধ্যমে এই সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।”
তিনি বলেন, “হযরত খাদিজা (সা.আ.) হযরত ফাতিমা (সা.আ.) এবং হযরত জয়নাব (সা.আ.) মুসলিম নারীদের জন্য সর্বোচ্চ আদর্শ। আমরা আশা করি, বিশ্বজুড়ে মুক্তচেতা নারীরা তাদের প্রকৃত পরিচয় ফিরে পাবে এবং ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের পথে একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করবে।”
আপনার কমেন্ট