শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ - ১৬:৩৮
ফিলিস্তিনের বিজয়ই ইসলামী উম্মাহর বিজয়ের সূচনা হবে

ইরানের কাযভিন প্রদেশের ওয়ালিয়ে ফকীহর প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন হোসাইন মোজাফফরি বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যু ইসলামী উম্মাহর প্রথম ও প্রধান ইস্যু। তিনি জুমার খুতবায় বলেন, “আমাদের নেতা ইমাম খামেনেয়ী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেছেন, “ফিলিস্তিন ইস্যু হলো ইসলামী উম্মাহর জন্য মুক্তির দরজা খোলার রহস্যময় চাবিকাঠি।”

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের কাযভিন প্রদেশের ওয়ালিয়ে ফকীহর প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন হোসাইন মোজাফফরির বক্তব্য নিম্নরূপ:

বিশ্ব কুদস দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য:
মোজাফফরি বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) ১৯৭৯ সালে রমজান মাসে শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এটি ফিলিস্তিনের সংগ্রাম ও ইসলামী ঐক্যের প্রতীক। তিনি বলেন, “এই দিনটি পালনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে।” 

প্রতিরোধের শক্তি ও সাফল্য:
তিনি গাজায় হামাস ও জিহাদি গোষ্ঠীর উত্থান এবং তাদের ‘অপারেশন আল-আকসা তুফান’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। মোজাফফরি বলেন, “এই অপারেশন ইসরাইলের ভিত্তি নড়বড়ে করে দিয়েছে এবং তাদের কৌশলগত পরাজয় ঘটেছে।” 

ইসরাইলের পরাজয়ের লক্ষণ:
তিনি ইসরাইলের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড বেন-গুরিয়নের তিনটি কৌশল—প্রাক-এম্পটিভ আক্রমণ, নিরাপদ অঞ্চলে থাকা ও দ্রুত যুদ্ধ—ব্যর্থ হওয়ার কথা বলেন। মোজাফফরি বলেন, “ফিলিস্তিনিরা এবার ইসরাইলকে চমকে দিয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তাবলয় ধ্বংস করেছে।” 

ইসলামী উম্মাহর বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী:
মোজাফফরি দৃঢ়ভাবে বলেন, “আল্লাহর ওয়াদা অনুযায়ী এই অঞ্চলের ভবিষ্যত ইসলামী উম্মাহর পক্ষে যাবে। ফিলিস্তিনি সংগ্রাম ও বিশ্ব মুসলিমদের সমর্থন শুধু ইসরাইলই নয়, পুরো আধিপত্যবাদী ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করবে।” 

ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি:
তিনি ঈদুল ফিতরের নামাজ শহীদ সোলাইমানি বুলেভার্ডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানান। মোজাফফরি বলেন, “সকলকে এই সম্মিলিত নামাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” 

রমজানের শেষ দিনগুলোর ফজিলত:
তিনি রমজানের শেষ রাতের বিশেষ মাগফিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। মোজাফফরি বলেন, “এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের ক্ষমা ও রহমত দান করেন।” 

ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর আদর্শ:
তিনি ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর উদাহরণ টেনে বলেন, “ইমাম (আ.) তার দাসদের রমজানের শেষে ক্ষমা করে দিতেন। আমরা আজ এই শিক্ষা থেকে ক্ষমা ও হৃদয় পরিশুদ্ধ করার শিক্ষা নিতে পারি।” 

আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির আহ্বান:
মোজাফফরি বলেন, “রমজানের শেষ দিনগুলোতে আমাদের হৃদয় পরিষ্কার করা উচিত। অন্যদের ক্ষমা করে দিয়ে আল্লাহর ক্ষমা লাভের চেষ্টা করতে হবে।” 

ইসলামী ঐক্যের বার্তা:
তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন ইসলামী ঐক্য ও ফিলিস্তিনি সংগ্রামের সমর্থনে জোরালো বার্তা দিয়ে। মোজাফফরি বলেন, “ফিলিস্তিনের বিজয়ই ইসলামী উম্মাহর বিজয়ের সূচনা হবে ইনশাআল্লাহ।” 

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha