হাওজা নিউজ এজেন্সি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজীর এই বার্তাটি তাঁর পুত্রের মাধ্যমে সম্মেলনে পাঠ করা হয়। তিনি বলেন, প্রায় ১২০০ বছরের প্রাচীন ইতিহাসসম্পন্ন কোম শহর প্রাচীনকাল থেকেই আহলুল বাইত (আ.)-এর অনুসারীদের ঘাঁটি এবং বিশুদ্ধ ইসলামি শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। হাওজায়ে ইলমিয়ার প্রতিষ্ঠা, তালাবা ও ফুযালার প্রশিক্ষণ, ওলামার পরিচিতি এবং খাঁটি মুহাম্মদী ইসলামের (সা.) শিক্ষার সঠিক ব্যাখ্যা ইসলাম ও শিয়াতের মর্মকে বিভ্রান্তি ও বিচ্যুতি থেকে রক্ষা করেছে।
তিনি আরও বলেন, মরহুম আয়াতুল্লাহিল উজমা শায়খ আবদুল করীম হায়েরি ইয়াযদির মাধ্যমে এক শতাব্দী আগে কোম হাওজার পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুধু শিক্ষার পুনর্জাগরণ নয়, বরং এটি বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং অযোগ্য শাসকদের দুর্বলতার বিরুদ্ধে জাতির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে। ফলস্বরূপ, ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লব, যার শিকড় হাওজা ও শিয়া চিন্তাধারায় নিহিত, বিজয়ের মুখ দেখে এবং এটি সমসাময়িক ইতিহাসে এক মোড় পরিবর্তনের ঘটনা হিসেবে পরিগণিত হয়।
বার্তার অপর অংশে, তিনি হাওজায়ে ইলমিয়ার ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ইসলামী বিপ্লবকে ইমাম মাহদির (আ.ফা.) আগমনের পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ওলামা ও তালাবাদের গুরুতর দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দেন, যেমন:
- আত্মশুদ্ধি (তাহযীবুন নফস)
- হাওজার মূল ও আসল মূল্যবোধে অটল থাকা
- শক্তিশালী ও গভীর জ্ঞানচর্চা
- অগভীর ও উপরে উপরে পড়াশোনা থেকে বিরত থাকা
- সচেতনতা ও দূরদর্শিতা
- প্রযুক্তির সুচিন্তিত ব্যবহার
- তালাবাদের সহায়তা করা
- জনগণের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখা
- হাওজার স্বাধীনতা রক্ষা করা যাতে তা সরকার বা রাজনীতির প্রভাবে না পড়ে
- যুবকদের প্রশ্ন ও সন্দেহের জবাব দেওয়া
- সমাজে আশাবাদ, আস্থা ও উত্সাহের চর্চা
তিনি বার্তার শেষাংশে ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর সঙ্গে গভীর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, হাওজার সব কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন।
আপনার কমেন্ট