শুক্রবার ৯ মে ২০২৫ - ১৮:২৮
সর্বোচ্চ নেতার ঐতিহাসিক বার্তার ভিত্তিতে হাওযা’র দ্বিতীয় পাঁচ বছরের কর্মসূচি প্রণয়ন

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের হাওযায়ে ইলমিয়ার পরিচালক সর্বোচ্চ নেতার কৌশলগত ও ঐতিহাসিক বার্তার জন্য প্রশংসাপূর্বক ঘোষণা করেছেন যে এই বার্তার ভিত্তিতে হাওযায়ে ইলমিয়ার দ্বিতীয় পাঁচ বছরের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এই সনদ হাওযার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি, কোমের হাওজায়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পার্শ্ব-আলোচনায় বলেন, আমরা সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে হাওযায়ে ইলমিয়ার জন্য প্রকাশিত চার্টার এবং সম্মানিত মারাজে ও আলেম-ওলামার উপস্থিতি ও উজ্জ্বল বার্তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ নেতার কৌশলগত বার্তা, ইমাম খোমেনির (রহ.) সনদের পর হাওযার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সনদ হিসেবে বিবেচিত এবং তা হাওযায়ে ইলমিয়ার সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

আয়াতুল্লাহ আ’রাফি হাওযার ইতিহাসকে দুটি সময়ে ভাগ করেন: ১৪তম হিজরি শতাব্দীর পূর্বে ও পরে। প্রতিটি সময়ের ছয়টি ঐতিহাসিক ধাপ চিহ্নিত করা যায়, যেগুলো পরবর্তীতে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হবে।

তিনি যোগ করেন, এখন আমরা ১৫তম হিজরি শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি এবং হাওযায়ে ইলমিয়ার জীবনের সপ্তম ধাপ শুরু হয়েছে, যা এই প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়।

তিনি বলেন, নেতার ঐতিহাসিক বার্তায় পাঁচটি মূল উপাদান উপস্থাপন করা হয়েছে, যার শেষ উপাদানটি হাওযার ‘সভ্যতামূলক দায়িত্ব’ এবং ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন দিগন্তে দৃষ্টি রাখা’। এই উচ্চমানের বার্তা হাওযার রূপান্তর ও অগ্রগতির পথনির্দেশক হবে।

আয়াতুল্লাহ আ’রাফি জানান, সর্বোচ্চ নেতার চার্টার বাস্তবায়নের জন্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন শুরু হয়েছে এবং অচিরেই তা অনুসরণ করার জন্য একটি পরিষদ গঠন করা হবে। এই সনদের কৌশলগত পয়েন্টগুলো নির্ধারিত সময়সূচির ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রথম পাঁচ বছরের পরিকল্পনার পরিসমাপ্তির পরে, আমরা এখন দ্বিতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি, যেখানে নেতার সমস্ত দিকনির্দেশনা ও দাবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওযার গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরমূলক প্রকল্পসমূহ এই ভিত্তির ওপর পুনঃমূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। আজ কোমমসহ দেশের এবং বিদেশের বহু হাওযায়ে ইলমিয়া কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ এই বার্তা শুনেছে এবং হাওযায় এক নতুন প্রাণসঞ্চার হয়েছে।

শেষে আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বলেন, আমরা আল্লাহ তাআলার সাহায্য কামনা করছি এবং আশা করছি আহলে বাইত (আ.)-এর অনুগ্রহ এবং তালেবে ইলম ও ওস্তাদদের প্রচেষ্টায় এই উচ্চতর লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়িত হবে। তিনি সকল মারাজে, ওলামা, ওস্তাদ, এবং বিশেষভাবে নেতার সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha