হাওজা নিউজ এজেন্সি: এই সাক্ষাৎকারে মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে এবং শত্রুদের মোকাবিলায় শিয়া-সুন্নি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
আল-মুস্তাফার দৃষ্টিভঙ্গি: ড. আব্বাসি স্বাগত জানিয়ে বলেন, আল-মুস্তাফা একটি আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ১৩৫টি দেশের ৯৭% বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এখানে সকল মাজহাবের অনুসারীদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত, যাতে তারা তুলনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামি বিপ্লবের লক্ষ্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, যা অর্জনের জন্য ইরান *مجمع جهانی تقریب مذاهب اسلامی (বিশ্ব মুসলিম ঐক্য ফোরাম)* প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফিলিস্তিন ইস্যু ও মুসলিম ঐক্য: তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের অধিকাংশ জনগণ আহলে সুন্নত হওয়া সত্ত্বেও ইরানই একমাত্র দেশ যা তাদের অধিকারের জন্য আন্তরিকভাবে সংগ্রাম করছে। অন্যদিকে, অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তিনি আলেমদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন জনগণকে সচেতন করেন এবং বিভ্রান্তি দূর করেন।
কুরআনের নির্দেশনা ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ: কুরআন সকল ঐশ্বরিক ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানায়। ড. আব্বাসি বলেন, মুসলিমরা একই আল্লাহ, নবী ও কিবলার অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও ছোটখাটো মতপার্থক্যের কারণে বিভক্ত। এই বিভেদের সুযোগ নিয়ে ইসরাইল মুসলিম বিশ্বের ওপর আধিপত্য করছে।
সাম্রাজ্যবাদের কৌশল ও মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব: তিনি উল্লেখ করেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের দুর্বল করছে। ইয়েমেনের মুজাহিদরা ইসরাইলের সমুদ্রপথ অকার্যকর করলেও কিছু মুসলিম রাষ্ট্র বিকল্প পথ খুলে দিচ্ছে। তিনি আলেমদের ভূমিকাকে নবীদের উত্তরাধিকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তাদেরই এ পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।
শেষ কথা: ড. আব্বাসি সমাপ্তি টানেন এভাবে—মুসলিম বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি, অন্যথায় শত্রুরা সুযোগ নেবে। আলেমদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব হলো জনগণকে জাগ্রত করা এবং বিভ্রান্তি দূর করা।
আপনার কমেন্ট