মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ - ১০:১২
ইমাম আলী (আ.)’র বেলায়েত— তাওহিদের অপরিহার্য শর্ত!

ইসলাম শুধু নামাজ, রোজা বা বাহ্যিক ইবাদতের ধর্ম নয়—বরং এটি একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যার মূল ভিত্তি হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তবে তাওহিদ কেবল মুখে বলা নয়; তা বিশ্বাস, অনুসরণ ও আনুগত্যের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করে। ইসলামি চিন্তাধারায় “উইলায়াত” বা বেলায়েত-নেতৃত্ব একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে। তাওহিদ তখনই পরিপূর্ণ হয়, যখন নবী (সা.)-এর পর ইমাম আলী (আ.)-এর নেতৃত্ব বা বেলায়েতকে মেনে নেওয়া হয়। রাসুল (সা.) এর ভাষায়, আলী’র (আ.) উইলায়াত অস্বীকার করা মানেই আল্লাহর প্রভুত্ব অস্বীকার করা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন,
یَا عَلِیُّ! مَنْ جَحَدَ وَلَایَتَکَ جَحَدَ اللهَ رُبُوبِیَّتَهُ
হে আলী! যে তোমার উইলায়াত (বেলায়েত বা নেতৃত্ব) অস্বীকার করে, সে আল্লাহর প্রভুত্বকেও অস্বীকার করে।

[বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২২, পৃষ্ঠা ১৪৮]

উল্লিখিত হাদীসটি আমাদের সামনে এক গভীর ঈমানি বাস্তবতা তুলে ধরে: আল্লাহর প্রতি সত্যিকার বিশ্বাসের জন্য রাসুলের পর নির্ধারিত নেতৃত্ব—অর্থাৎ ইমাম আলী (আ.)-এর বেলায়েতকে মেনে নেওয়া অপরিহার্য। বেলায়েতের অস্বীকার মানে হচ্ছে ইসলামের নেতৃত্ব কাঠামোর অস্বীকৃতি, যা পরিণামে তাওহিদকেই চ্যালেঞ্জ করে।

সুতরাং, একজন মুমিনের জন্য কেবল আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসই পরিপূর্ণ নয়; বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্ধারিত পথনির্দেশ ও নেতৃত্বকেও মেনে নিতে হবে। ইসলামী ঐক্য, সঠিক আকীদা এবং আধ্যাত্মিক পূর্ণতার জন্য বেলায়েত বা নেতৃত্বের এই মূলনীতি অপরিহার্য। কেননা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসের সঙ্গেই ইমামতের বিশ্বাস অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha