আরাকে হাওজা নিউজ এজেন্সি‘র সঙ্গে আলাপে সময় হাজি ওহেদি ইমাম হাসান আসকারি (আ.)-এর জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, একাদশ ইমাম তাঁর সংক্ষিপ্ত ইমামতকালেই শিয়াদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করা এবং গায়বতের সময়ের জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, ইমাম আসকারি (আ.) সুবিবেচিত শিক্ষণ-পদ্ধতি ও দক্ষ নেতৃত্ব কৌশলের মাধ্যমে অনুসারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতেন এবং বিশেষ প্রতিনিধি ও যোগ্য ছাত্রদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন, যার মাধ্যমে ধর্মীয় জ্ঞান ও শরিয়তের বিষয়গুলো সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া হতো।
হাজি ওহেদি আরও জানান, ইমাম আসকারি (আ.)-এর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে ছিল শিয়াদের আত্মিক সম্পর্ককে দৃঢ় করা, ধর্মীয় বিধান ব্যাখ্যা করা, তাদের ধৈর্য ও তাকওয়ার দিকে আহ্বান জানানো এবং নানা চিন্তাগত ও বিশ্বাসগত সংশয়ের জবাব প্রদান। তিনি অনুসারীদের ঈমান রক্ষায় অনুপ্রাণিত করে তাদের আত্মিক উন্নয়ন ও বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করেছিলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইমাম আসকারি (আ.) প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে শিয়াদের ঐক্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দিতেন এবং বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিতেন। পাশাপাশি, গোপন সাক্ষাৎ ও চিঠিপত্রের মাধ্যমে তিনি কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিয়াদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করতেন।
তিনি বলেন, ইমাম আসকারি (আ.)-এর পদক্ষেপসমূহ শিয়াদের পরিচয় রক্ষা, ধর্মীয় নেতৃত্ব তৈরী এবং গায়বতের সময় বিশ্বাস অটুট রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁর শিক্ষা আজও আহলে বাইতের অনুসারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
তিনি আরও যোগ করেন, বিশেষত শিয়াদের আত্মিক বন্ধন রক্ষা এবং সমাজকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে ইমাম আসকারি (আ.)-এর কার্যক্রম ইমামতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে এবং ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর আগমনের প্রত্যাশাকে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে।
আপনার কমেন্ট