হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়েশা কার অনুমতি নিয়ে যুদ্ধে এসেছিলেন?
হজরত আয়েশা, উম্মুল মুমিনীন, আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসেছিলেন-তিনি কি নবীর অনুমতি নিয়ে এসেছিলেন, নাকি নিজের অনুমতিতে এসেছিলেন? যেমন করে হজরত আমীর (আলী) বলেছেন: “আমাকে জিজ্ঞাসা করো, এর আগে যে আমি তোমাদের মধ্য থেকে চলে যাই। যা খুশি প্রশ্ন করো।” ইতিহাসে কেউই এমন দাবি করতে পারেনি।
বলা হয়, ইবনে জাওজি চেয়েছিলেন মিম্বারে উঠে আমীরুল মুমিনীন (আলী)-এর মতো আচরণ করতে। তিনি-ও বললেন: “আমাকে জিজ্ঞাসা করুন, যা ইচ্ছা প্রশ্ন করুন।” তখন এক নারী পর্দার আড়াল থেকে বললেন: “ইবনে জাওজি, অমুক বিষয়ের ব্যাখ্যা কী?”-তিনি উত্তর দিতে পারলেন না। আরেকটি প্রশ্ন করলেন-তাতেও উত্তর দিতে পারলেন না।
তখন তিনি সেই মহিলাকে উদ্দেশ করে বলতে শুরু করলেন: হে নারী, যদি তুমি তোমার স্বামীর অনুমতি ছাড়া মসজিদে এসে থাকো, আল্লাহ তোমাকে লানত করুন! আর যদি স্বামীর অনুমতি নিয়ে এসে থাকো, আল্লাহ তোমার স্বামীকে লানত করুন!
সেই নারী তখন বললেন: হে ইবনে জাওজি! উম্মুল মুমিনীন আয়েশা আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসেছিলেন-তিনি কি নবীর অনুমতি নিয়ে এসেছিলেন, নাকি নিজের অনুমতিতে?
এ পর্যায়ে ইবনে জাওজি কিছুই বলতে পারলেন না, কোনোটাই বেছে নিতে পারলেন না। তিনি মিম্বার থেকে নেমে গেলেন এবং বললেন: আলী সত্য কথা বলেছেন যে তাঁর ছাড়া আর কারো জন্য এমন দাবি শোভন নয়-যে বলবে ‘আমাকে জিজ্ঞাসা করো, এর আগে যে আমি চলে যাই।
ইসলামী ইতিহাসে একটি আলোচিত ঘটনা হলো হজরত আয়েশার হজরত আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ। তিনি কি নবী করিম (সা.)–এর অনুমতি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বের হয়েছিলেন, নাকি এটি ছিল তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত? ইতিহাসের আলোচনায় ফিরে আসে ইবনে জাওজির সেই বিখ্যাত ঘটনা-যেখানে এক নারীর সরল প্রশ্নে তিনি পর্যন্ত নীরব হয়ে যান এবং মিম্বার থেকে নেমে আসতে বাধ্য হন। হজরত আলীর সেই বাণী-“আমাকে জিজ্ঞাসা করো, এর আগে যে আমি তোমাদের মধ্য থেকে চলে যাই”-এর সত্যতা যেন আবারও প্রতিষ্ঠিত হয়।
আপনার কমেন্ট