বুধবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৯:৩০
গাজায় নির্যাতনের কালো রাত নেমে এসেছে— এমন নির্মম গণহত্যা মানবতা কখনো দেখেনি

পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ শিয়া নেতা আল্লামা সাইয়্যেদ সাজিদ আলী নাকাভি আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস (৯ ডিসেম্বর), মানবাধিকার দিবস এবং গণহত্যা ও মানবমর্যাদা দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় বলেন, “১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিন রক্তাক্ত; তবে গত দুই বছরে গাজায় যে অমানবিক অত্যাচার চলছে, মানব ইতিহাসে এর পূর্ব নজির নেই।”

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আল্লামা সাইয়্যেদ সাজিদ আলী নাকাভি আও বলেন, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে আজ পর্যন্ত যে বর্বর গণহত্যা ও দমন–নির্যাতন চলছে, তা মানবতা কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ কিংবা ওআইসি—কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা এই আগ্রাসন থামাতে সক্ষম হয়নি।

তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলের নতুন দখলদার সীমানা তথাকথিত আরোপিত শান্তি চুক্তির মুখোশ উন্মোচন করেছে। “বাস্তবে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে; বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদের সামনে সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে। মানবাধিকার পদদলিত হচ্ছে, আর পাকিস্তানের ব্যবস্থায় দুর্নীতি দিমকের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। আইএমএফ এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপই বাস্তবতার নির্মম চিত্র তুলে ধরে।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে আল্লামা নাকাভি বলেন, “দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য কেবল দিবস পালন যথেষ্ট নয়। স্থানীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন পর্যন্ত দুর্নীতি বিস্তৃত। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান ন্যায়ভিত্তিক ও স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা। বর্তমান পরিস্থিতি দেখাচ্ছে—অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন—সবখানেই দুর্নীতির গভীর শিকড় গেড়ে বসেছে। এর প্রতিকার না হলে দেশ অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।”

মানবাধিকার ও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে তিনি বিশ্ববাসীকে উদ্দেশ করে বলেন, “দুঃখজনক যে জাতিসংঘ মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানে তার মিশনে সফল হতে পারেনি। বড় শক্তি ও আগ্রাসী রাষ্ট্রগুলোর সামনে জাতিসংঘ আজ অকার্যকর। যদি তা না হতো, তবে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের ন্যায়বিচার বহু আগেই নিশ্চিত হতো। আজও ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভূমিতে পরিত্যক্ত।

তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিন ১৯৪৮ সাল থেকেই রক্তাক্ত, কিন্তু গত দুই বছরে গাজায় যে অন্ধকার নেমে এসেছে তা অকল্পনীয়। আরোপিত একটি ভুয়া শান্তি চুক্তিকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল, কিন্তু গাজায় নতুন দখলদার সীমানাই সেই চুক্তির আসল রূপ দেখিয়ে দিয়েছে। ‘হলুদ রেখা’কে সীমান্ত ঘোষণা করা বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রকাশ্য সমর্থন এবং ফিলিস্তিনি জনগণসহ মুসলিম নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্পষ্ট প্রতারণা।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha