হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাত উপলক্ষে এই বিশিষ্ট শহীদের এক অতুকনীয় স্মৃতি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, যিনি তার এক অনন্য অপারেশনে রাতে ইরাকের অবরুদ্ধ আমেরলি শহরে অনুপ্রবেশ করে এবং শহরের রক্ষকদের সংগঠিত করার মাধ্যমে তিনি আইএসআইএস কর্তৃক এই এলাকায় সাধারণ মানুষ ও শিয়াদের গণহত্যা প্রতিরোধ করেছিলেন।
শুক্রবারের নামাজের সময় সর্বোচ্চ নেতা যা বলেছিলেন তার মধ্যে একটি শহীদ সোলেইমানির অত্যন্ত সাহসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের একটি বলে উল্লেখ ছিল এবং আশ্চর্যজনকভাবে কোনো মিডিয়া এই দুঃসাহসিক অভিযান কভার করেনি।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “এমন কে আছে যে হেলিকপ্টারে শত্রু দ্বারা ৩৬০ ডিগ্রি অবরোধের মধ্যে থাকা একটি শহরে প্রবেশ করতে পারে (অর্থাৎ পালানোর পথহীন সম্পূর্ণ অবরোধ) এবং সেই শহরের যুবকদের সংগঠিত করে অবরোধ ভাঙতে পারে?”
সর্বোচ্চ নেতার এই বিবৃতিটি ইরাকের আইএসআইএস দ্বারা “আমেরলি” শহর অবরোধের সময় জেনারেল সোলেইমানি যে অসাধ্য সাধন করেছিলেন তার একটি উল্লেখ ছিল।
যখন আইএসআইএস ইরাকে আক্রমণ করে এবং মসুল ও সমস্ত উত্তর ইরাককে বিনা প্রতিরোধে দখলে নিয়ে যায় এবং বাগদাদ, কারবালা এবং ইরবিলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল এবং পুরো ইরাকটি আইএসআইএস দ্বারা দখল ও পতনের দ্বারপ্রান্তে ছিল, তখন "আমেরলি" নামক একটি শহর যার বাসিন্দারা ইরাকের শিয়া তুর্কমেন সংখ্যালঘু আইএসআইএস দ্বারা সম্পূর্ণ এবং ৩৬০ ডিগ্রি অর্থাৎ চতুর্দিক থেকে অবরোধের মধ্যে ছিল।
যখন ‘আমেরলি’ শহরটি আইএসআইএস দ্বারা সম্পূর্ণ অবরোধের মধ্যে ছিল, তখন শহীদ সোলেইমানি একটি হেলিকপ্টারে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাতে আইএসআইএস বাহিনীর উপর দিয়ে উড়ে এসে শহরে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি শহরের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পূনঃসংগঠিত করেছিলেন, যার ফলে শহরটি দায়েশ জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করতে এবং সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শহরটির পতন এবং এই শহরের জনগণ ও শিয়াদের ভয়ঙ্কর গণহত্যার হাত থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আতঙ্ক ও ভয়ানক বিপদে ভরা এই পরিস্থিতিতে এটি একটি অদ্ভুত এবং অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ ছিল এবং খুব কম লোকই এটি করার সাহস করতেন।
দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের মিডিয়া সেই সময়ে জনসাধারণকে আইএসআইএস দ্বারা সৃষ্ট বিশাল বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেনি বা জেনারেল সোলেইমানির এই নির্ভীক ও আশ্চর্যজনক অভিযান সম্পর্কেও প্রচারণা ও প্রতিবেদন তৈরী করেনি।
[বই: ‘আমি কাসেম সোলাইমানি’, পৃষ্ঠা- ৪৭]
আপনার কমেন্ট