হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের হাওজায়ে প্রধান আয়াতুল্লাহ আ’রাফি “উত্তম জবাব” নামক অনুষ্ঠানের তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন:
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
یَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِینَ آمَنُوا مِنْکُمْ وَالَّذِینَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِیرٌ.
সকল প্রশংসা সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের উপর তাঁর অগণিত নিয়ামত বর্ষণ করেছেন এবং লক্ষ লক্ষ দরুদ ও সালাম হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) এবং আহলে বাইত (সা.)-এর উপর, বিশেষ করে হযরত ওলী আসরের উপর (আল্লাহ তাঁর আগমন ত্বরান্বিত করুক)।
ইসলামের শিক্ষা প্রচার করা এবং ভুল ও সন্দেহের পণ্ডিতিপূর্ণ উত্তর প্রদান করা আলেমসমাজ এবং মারজায়ে তাকলিদগণের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। আমাদের এই আশীর্বাদ প্রদানের জন্য আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।
তৃতীয় "উত্তম জবাব" উৎসব উপলক্ষে ইরানের হাওজায়ে ইলমিয়ার প্রধান আয়াতুল্লাহ নূরী হামাদানী (হাফি.) এর একাডেমিক, নৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক খেদমতের ভূয়সী প্রশংসা করতে পেরে গর্ববোধ করছি। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে উত্থাপিত সন্দেহের যুক্তিসঙ্গত উত্তর প্রদানে তাঁর সত্তর বছরের প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর এই সেবা অন্ধকারে আলোর মতো যা হৃদয়কে পথ দেখায়।
আপনি এমন একজন ফাকিহ (ইসলানি আইনজ্ঞ) যিনি বছরের পর বছর ধরে মহান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে থেকে উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার জ্ঞান দিয়ে অসংখ্য ছাত্রকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, যারা আজ ইসলামের প্রচারক এবং শরিয়ার রক্ষক।
আপনি এমন একজন দূরদর্শী ধর্মীয় পণ্ডিত যিনি সমাজের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাভিত্তিক চাহিদা বুঝতে পেরেছিলেন এবং ১৩৪০ হিজরির শুরুতে ইসলাম নিয়ে নানাবিধ সংশয় ও সন্দেহের উত্তর শেখানো শুরু করেছিলেন। তরুণ প্রজন্মের মন থেকে সন্দেহ দূর করাকে আপনি সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।
আপনি এমন একজন মুজাহিদ যিনি ইসলামী সরকারের নীতিমালার অধীনে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং বেলায়েতে ফাকিহ'কে (আইনজ্ঞের অভিভাবকত্ব) মেনে চলা তাঁর জীবনের লক্ষ্য করে তুলেছিলেন। ১৩৫৭ হিজরির বিপ্লবী আন্দোলনে আপনার কার্যকর ভূমিকা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
আমরা প্রার্থনা করি যে হযরত ওলী-ই-আসর (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁর আগমন ত্বরান্বিত করুক) এর খাস নজর হাওজায়ে ইলমিয়ার উপর অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক, ছাত্র এবং আলেম সমাজ আপনার নৈতিক ও পান্ডিত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে ইসলামের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন।
আলী রেজা আ’রাফি,
ইরানের হাওজায়ে ইলমিয়ার প্রধান।
আপনার কমেন্ট