বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ - ২০:২৭
ফাতিমা যাহরার (সা.আ.) সৃষ্টি সমগ্র সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ উৎস—মহান আল্লাহর নূর থেকে

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: “اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ” — “আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর নূর।” অর্থাৎ, হে আলী, যাহরা আমার নিজস্ব নূর থেকে সৃষ্ট এবং তিনিই আমার নূরের অংশ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত ফাতিমা যাহরার (সা.আ.) সৃষ্টি সমগ্র সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ উৎস—মহান আল্লাহর নূর থেকে। বর্ণনায় এসেছে, সেই নূর ছিল আল্লাহর নিজস্ব নূর। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: “اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ” — “আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর নূর।” অর্থাৎ, হে আলী, যাহরা আমার নিজস্ব নূর থেকে সৃষ্ট এবং তিনিই আমার নূরের অংশ।

হযরত যাহরার নূর সরাসরি আল্লাহর নূর থেকে অবতীর্ণ হয়েছে—এ কথার ব্যাখ্যা হলো, নবী করিম (সা.)-কে চল্লিশ দিন রিয়াজত ও আধ্যাত্মিক সাধনায় কাটাতে হয়েছিল যাতে সেই নূর মেরাজের রাতে জান্নাতের ঐশ্বরিক ফলের রূপে প্রকাশ পেতে পারে। দীর্ঘ আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া শেষে সেই নূর নবীজির শরীরে স্থানান্তরিত হয় এবং পরবর্তীকালে তা হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহা)-এর গর্ভে পৌঁছে হযরত ফাতিমা যাহরার অস্তিত্বের সূচনা হয়।

বর্ণনায় আরও পাওয়া যায়—যখন আমীরুল মু’মিনীন আলী (আ.) তাঁর প্রিয় স্ত্রী ফাতিমা যাহরাকে দাফন করলেন, তখন আকাশমণ্ডলে এক অপূর্ব নূর প্রকাশিত হয়েছিল। এ নূরকেও আল্লাহর নূরের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ তিনি আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্ট এবং নূরের মধ্যেই তাঁর প্রকৃত পরিচয়।

সুতরাং, আমরা বিশ্বাস করি—হযরত ফাতিমা যাহরা নূরানি সত্তা; বাহ্যিকভাবে মানবরূপে হলেও তাঁর অস্তিত্ব হুরের মতো পবিত্র ও আধ্যাত্মিক।

এই নূরানিয়াত, মেরাজের রাতের ঐশ্বরিক ফল, নবীজির রিয়াজত এবং নূরের স্থানান্তরের ঘটনাপ্রবাহ—সব মিলিয়ে হযরত যাহরার মহিমা ও মর্যাদার এক অনন্য দিককে উজ্জ্বল করে তোলে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha