রবিবার ৯ মার্চ ২০২৫ - ০৮:০০
“কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলা দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্য নিশ্চিত করে”

ইসফাহানের জুমার ইমাম কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি চিন্তা ও বিবেকের ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা যেন কুরআনকে শুধু তিলাওয়াত না, বরং তাদের জীবনের ‘পথপ্রদর্শক’ হিসেবে গ্রহণ করে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর নির্দেশনা অনুসরণ করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইসফাহানে বিশতম কুরআন ও ইতরাত প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইউসুফ তাবাতাবাই নেজাদ বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যদি তোমরা দুনিয়া বা আখেরাতের কোনো বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হও, তাহলে কুরআনের সাহায্য নাও। কারণ কুরআন এমন একটি সুপারিশকারী, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে এবং এর বাণী গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য।”

কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান
ইসফাহান প্রদেশে ওয়ালিয়ে ফকীহর প্রতিনিধি আরও বলেন, “আল্লাহর অনুগ্রহ তাঁর সকল বান্দার জন্য রয়েছে, তবে এই অনুগ্রহ শর্তসাপেক্ষ যে ব্যক্তিরা তাদের নিজেদের সৌভাগ্যের জন্য এগিয়ে আসবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, “যদি মানুষ দুটি মূলনীতি মেনে চলে—বড়দের কথা শোনা এবং চিন্তা ও বিবেকের ব্যবহার—তাহলে তারা জাহান্নামের অধিবাসী হবে না।”

সর্বোচ্চ নেতার বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য আরও জোর দিয়ে বলেন, “আমরা যা শুনি তা বাস্তবায়ন করা জরুরি। আমাদের শোনা কথাগুলোকে কাজে পরিণত করতে হবে।”

কুরআন: জান্নাতে সুপারিশকারী
ইসফাহান প্রদেশে ওয়ালিয়ে ফকীহর প্রতিনিধি কুরআনের সুপারিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, “কুরআন এমন একটি সুপারিশকারী, যা মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর মাধ্যম হয়। এই সুপারিশ শুধু আখেরাতেই নয়, বরং দুনিয়াতেও কল্যাণ ও বরকত বয়ে আনে।”

তিনি যোগ করেন, “কুরআন তিলাওয়াত করা, খাঁটি নিয়তে তা অধ্যয়ন করা এবং মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনা—এগুলোই কুরআনের সুপারিশের উদাহরণ।” 

পথপ্রদর্শক হিসেবে জীবনে কুরআনের ভূমিকা
আয়াতুল্লাহ তাবাতাবাই নেজাদ আরও জোর দিয়ে বলেন, “যে ব্যক্তি কুরআনকে তার জীবনের ইমাম ও নেতা হিসেবে গ্রহণ করে, এই ঐশী গ্রন্থ তাকে জান্নাতের দিকে পরিচালিত করবে। কিন্তু যে ব্যক্তি কুরআন অনুসারে কাজ করে না, কুরআন নিজেই সাক্ষ্য দেবে যে সে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করেনি।”

তিনি বলেন, “কুরআন কেবল তিলাওয়াত করার চেয়ে এর নির্দেশনা মেনে চলা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কুরআনের আয়াতগুলো জীবনে বাস্তবায়ন করা দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্যের মূল উপায়।”

ইসফাহানের জুমার ইমাম তার বক্তব্যের শেষে চিন্তা, বিবেক এবং কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলার উপর জোর দেন। তিনি জনগণকে আহ্বান জানান যে তারা যেন কুরআনকে শুধু তিলাওয়াতই না করে, বরং তাদের জীবনের পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর নির্দেশনা অনুসরণ করে। এভাবে দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্য ও শান্তি নিশ্চিত হবে। 

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha