হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের সামরিক শক্তির র্যাংকিং বিভিন্ন উপাদানের ওপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে রয়েছে—সেনাবাহিনীর সংখ্যা, প্রতিরক্ষা বাজেট, সামরিক সরঞ্জাম, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রগতি, কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরিচালনাগত সক্ষমতা। বিভিন্ন উৎস, বিশেষ করে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের মতো সংস্থার প্রতিবেদন এবং সমসাময়িক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ইরানের সামরিক অবস্থানকে সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়।
বিশ্বে ইরানের সামরিক র্যাংকিং
২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান বৈশ্বিক সামরিক শক্তির তালিকায় ১৩ থেকে ১৫তম অবস্থানে রয়েছে। এই র্যাংকিং কয়েকটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত:
মানবসম্পদ:
ইরানের সক্রিয় সামরিক বাহিনী দেশের মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ০.৫% থেকে ১.৫% পর্যন্ত। এছাড়া প্রায় ৪ লাখ রিজার্ভ সৈনিক রয়েছে, যা ইরানের অন্যতম বড় সামরিক সক্ষমতা।
সামরিক সরঞ্জাম:
ইরানের হাতে ট্যাঙ্ক, কামান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল, সাবমেরিন এবং বিমানবাহিনীর বহরসহ নানা ধরনের ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে।
মিসাইল সক্ষমতা:
ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল উৎপাদন এবং উৎক্ষেপণের দিক থেকে ইরান বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে বিবেচিত, যা তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতার প্রধান স্তম্ভ।
স্থানীয় প্রতিরক্ষা শিল্প:
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং দেশীয়ভাবে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যার ফলে তার আত্মনির্ভরতা বেড়েছে।
কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান:
পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত ইরানের ভৌগোলিক অবস্থান এবং হরমুজ প্রণালীর উপর নিয়ন্ত্রণ তাকে একটি কৌশলগত সামরিক সুবিধা প্রদান করে।
প্রতিরক্ষা বাজেট:
ইরানের প্রতিরক্ষা বাজেট যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা রাশিয়ার মতো দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এই সীমিত বাজেট মূলত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং অভ্যন্তরীণ আর্থিক সমস্যার প্রতিফলন। তাই, এ খাতে ইরানের ব্যয়কে বৈশ্বিক বৃহৎ শক্তিগুলোর অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
আপনার কমেন্ট