শুক্রবার ২ মে ২০২৫ - ১৮:২৫
হাওজায়ে ইলমিয়া বিপ্লব ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত

হাওজায়ে ইলমিয়া বিপ্লব ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত

হাওজায়ে ইলমিয়া কোমের পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষে ৫০টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আরাফি বলেছেন, হাওজায়ে ইলমিয়া ইসলামী সভ্যতার চিন্তা-চেতনার অনুসরণ করছে এবং ইসলামী জ্ঞানের পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, কিন্তু এখানেই থেমে থাকা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়, হাওজা এবং শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে সমাজের জটিলতা ও সংকট নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের ধর্মীয় নগরী কোম শহরের মুসাল্লায়ে কুদসে জুমার নামাজে আয়াতুল্লাহ আরাফি শিক্ষক দিবস এবং শহীদ শিক্ষকদের স্মরণে বক্তব্য রাখেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠানসমূহ ইসলামী বিপ্লবের সঠিক ও সোজা পথে পরিচালিত হবে।

তিনি শ্রমজীবী মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই প্রিয় মানুষেরা যেন সম্মানজনক জীবিকা ও জীবনমান পায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগ দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে হরমুজগানের শহীদ রেজায়ি বন্দরের দুর্ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত এবং আহতদের সহনশীলতা ও সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও কারিগরি মানোন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

তিনি আরও বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান সামনে রয়েছে— মজলিসলে খুবরেগনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক এবং হাওজায়ে ইলমিয়ায়ে কোমের শতবর্ষপূর্তির সম্মেলন। ১৭ ও ১৮ উর্দিবেহেশত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ১২ শতাব্দীজুড়ে হাওজার ভূমিকা এবং আয়াতুল্লাহ হায়েরি (রহ.)-এর স্মৃতি বিশেষভাবে স্মরণ করা হবে।

তিনি জানান, গবেষণা ও প্রবন্ধ প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন হওয়ায় সম্মেলনটি কিছুটা দেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সর্বোচ্চ রাহবার, হাওজার প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ। এ আয়োজনে ৫০টি প্রকাশনার উদ্বোধন করা হবে এবং দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষজ্ঞ কমিশনের অধিবেশন।

তিনি বলেন, আলেম সমাজ, হাওজা ও মুসলিম উম্মাহ প্রত্যাশা করছে যে সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে একটি দিকনির্দেশনামূলক নীতি-পত্র প্রকাশিত হবে, যার ভিত্তিতে ইসলামী সমাজের অগ্রগতি নিশ্চিত করা যাবে।

আয়াতুল্লাহ আরাফি কোম শহরকে এমন একটি ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে আখ্যা দেন, যেখানে ১২ শতকেরও অধিক সময় ধরে হাওজা সক্রিয় রয়েছে। এটি ইরান এবং কোমবাসীর জন্য এক গৌরবময় অর্জন।

তিনি বলেন, গত ১০০ বছরে হাওজায়ে ইলমিয়ায়ে কোম বিশেষ করে ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর আন্দোলনের পর থেকে এক প্রভাবশালী ও পথপ্রদর্শক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে ছিল, জনগণের জন্য কাজ করেছে এবং ইসলামী আদর্শের পথে সমাজে পরিবর্তন এনেছে।

তিনি বলেন, ইমাম, আলেম, জাতি ও যুবসমাজের বরকতময় প্রচেষ্টায় হাওজা আজ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং ইনশাআল্লাহ এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীদের জন্যও হাওজায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha