হাওজা নিউজ এজেন্সি: তেহরানের মেয়রের সঙ্গে এক বৈঠকে আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বলেন, “সভ্যতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির অর্থ হচ্ছে— জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি কুরআন, ইসলামী জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে এমন একটি চিন্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা সমাজের সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম।”
তিনি বলেন, “তেহরান, কোম ও মাশহাদ এমন মহানগরী যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসলামি আদর্শ শহর হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য এসব শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনা, নাগরিক সেবা ও সংস্কৃতি হবে বিশ্বমানের।”
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি সভ্যতামূলক চিন্তার মূল স্তম্ভ হিসেবে ইমামত ও ওলায়েতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই দর্শন পাশ্চাত্য চিন্তাধারার সঙ্গে মৌলিকভাবে ভিন্ন, এবং এটি ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।”
তিনি অতীতের উদাহরণ টেনে বলেন, “শেখ বাহাই ইস্পাহানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আধ্যাত্মিকতা একত্রিত করে এমন এক স্থাপত্য গড়েছিলেন, যার নিদর্শন এখনও চাহারবাগ মাদ্রাসায় বিদ্যমান। আমাদের শহরগুলোকেও এমন জ্ঞানের ও দৃষ্টিভঙ্গির মিশ্রণে গড়া উচিত।”
তিনি বলেন, “এই ঘাটতি পূরণে হাওজা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। শহর উন্নয়নে ইসলামি মূল্যবোধ ও আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে প্রয়োজন গবেষণা ও গভীর অধ্যয়ন।”
রাজধানী স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তেহরানের সমস্যাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বদলে এ শহরের ভেতরেই সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। এর জন্য প্রয়োজন সরকার, পৌরসভা ও বিভিন্ন বিভাগের সম্মিলিত প্রয়াস।”
তেহরান পৌরসভার রূপান্তর পরিকল্পনা
বৈঠকের শেষভাগে তেহরানের মেয়র ড. আলীরেজা জাকানি বলেন, “জীবনধারার পরিবর্তন, প্রযুক্তিনির্ভর নগর ব্যবস্থাপনা, ন্যায়ের ভিত্তিতে নাগরিক সেবা, মসজিদকেন্দ্রিক কার্যক্রম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে তেহরানকে একটি মডেল নগরীতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।”
আপনার কমেন্ট