হাওজা নিউজ এজেন্সি: জেনারেল সালামি বলেন, শত্রু কখনও কখনও সামরিক অভিযানের হুমকি দেয়। আমরা সবসময় বলেছি—এবং আবারও বলছি—যেকোনো পরিস্থিতি, যেকোনো প্রেক্ষাপটের জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, শত্রু ভুলভাবে মনে করে, গাজায় অবরুদ্ধ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর যে নৃশংসতা চালায়, সেই একই পদ্ধতিতে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আঘাত হানতে পারবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ইয়েমেনের যুবকদের সামনেও তারা টিকতে পারেনি—ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। ইরানের মতো মহান জাতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তাদের কোথায়?
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বছরের পর বছর ধরে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো স্তরের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। শত্রু যেন কোনো ভুল হিসেবনিকেশ না করে!
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে। এরই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম এশিয়া থেকে অপ্রয়োজনীয় দূতাবাস কর্মী ও তাদের পরিবারদের সরিয়ে নিচ্ছে।
ইরানি কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন তাৎক্ষণিক ও সর্বাত্মক জবাবের মুখোমুখি হবে। ইরানের লক্ষ্যবস্তু হবে ‘অঞ্চলের সমস্ত মার্কিন স্বার্থ ও সামরিক ঘাঁটি’।
সালামির এই হুঁশিয়ারি আসে এমন সময়ে যখন ইরান-মার্কিন পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা (ওমানের মধ্যস্থতায়) চলমান।
গতকাল ইয়েমেনের আনসারুল্লাহর সতর্কতা এবং আজকের এই ঘোষণা ইঙ্গিত দেয় যে পশ্চিম এশিয়ায় যেকোনো সংঘাত অঞ্চলব্যাপী যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক নেতৃত্বের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে: প্রতিটি আগ্রাসনের জবাব হবে ভয়াবহ।
প্রাসঙ্গিক তথ্য:
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও আইআরজিসি প্রধান—তিন শীর্ষ নেতাই পশ্চিমা হুমকির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সতর্কতা জারি করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলি হামলার ক্ষেত্রে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ ও ইরাকি শিয়া মিলিশিয়ারা সমন্বিত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।
আপনার কমেন্ট