হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর নৃশংসতা এবং ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার প্রতি অবমাননার বিরুদ্ধে হযরত আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজীর বার্তা নিম্নরুপ:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّیٰ لَا تَکُونَ فِتْنَةٌ
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যতক্ষণ না ফেতনা দূর হয়। [সূরা আল-বাকারা: ১৯৩]
ইহুদি আগ্রাসী ও বর্বর জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা ইসলামি প্রিয় দেশ ইরানে যে অন্যায় হামলা ও নিরীহ নারী-শিশুদের হত্যা, মিডিয়া ও অবকাঠামোর উপর বর্বর আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে, তার কয়েকদিন পরও আমরা দেখতে পাচ্ছি—ইরানের ইসলামি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে, হৃদয়ে ঈশ্বরীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি নিয়ে, সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে এবং এ কষ্ট সহ্য করছে। বরং আরও বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত, যতক্ষণ না অবৈধ ইসরায়েলের হুমকি সম্পূর্ণ নির্মূল হয়।
পবিত্র কুরআনের বাণী অনুযায়ী:
إِنْ تَکُونُوا تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ یَأْلَمُونَ کَمَا تَأْلَمُونَ وَتَرْجُونَ مِنَ اللَّهِ مَا لَا یَرْجُونَ
তোমরা যদি কষ্ট পাও, তাহলে তারা (শত্রুরাও) যেমন তোমাদের মতো কষ্ট পাচ্ছে, কিন্তু তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কিছু প্রত্যাশা করো, যা তারা করে না। [সূরা আন-নিসা: ১০৪]
এভাবেই মুমিনগণ আল্লাহর সাহায্যের আশা কখনোই ছাড়ে না এবং চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক্ষায় থাকে।
কিন্তু এই অবৈধ ও বাতিল রাষ্ট্র এবং তার অসহায় নেতারা যখন ইসলামি যোদ্ধাদের সাফল্যে চমকে ওঠে, তখন তারা যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু ইউরোপীয় এবং আঞ্চলিক রাষ্ট্রের অসার শক্তির ওপর নির্ভর করে পরিস্থিতি থেকে পালাতে চায়। এমনকি তারা এতটাই হীন ও মূর্খ যে, তারা ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতাকে হুমকি দিতে সাহস করে!
এই প্রেক্ষিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:
১. আমাদের বিশ্বাস ও আকিদার দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোচ্চ নেতা শুধু শিয়া সম্প্রদায়ের নয়, বরং পুরো ইসলামি উম্মাহর নেতা হিসেবে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। কোনো ন্যায়পরায়ণ ও স্বাধীন মুসলমান এমন হুমকি কখনোই মেনে নিতে পারে না।
সুতরাং, দুনিয়ার সকল মুসলমান ও স্বাধীনচেতা মানুষদের উচিত, যেকোনোভাবে তাঁর প্রতি সমর্থন প্রকাশ ও কোনো প্রকার অবমাননার দৃঢ় নিন্দা জানানো—যাতে সকলের কাছে স্পষ্ট হয়, বিশ্ববাসী এমন জুলুমের বিরুদ্ধে একত্রিত।
২. আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেভাবে এতদিন সাহসিকতার সঙ্গে শত্রুকে মোকাবিলা করেছে, তেমনি এখনো তাদের উচিত কৌশলী, অপ্রত্যাশিত ও চমকে দেওয়ার মতো জবাব দিয়ে এমনভাবে আঘাত করা, যাতে শত্রু ভবিষ্যতে এমন চিন্তা করারও সাহস না পায়।
৩. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে—সব জায়গায় আমাদের শক্তির মূল উৎস হলো জনগণ ও যোদ্ধাদের ঈমান। এই কঠিন সময়ে, আমাদের সকল মুসলমান ও বিশ্বাসী ভাইবোনদের উচিত—আল্লাহর দরবারে আন্তরিকভাবে হাত তুলে দোয়া করা, এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে প্রার্থনা ও ইমামদের (আ.) শাফাআতের আশ্রয় নেওয়া।
কারণ শত্রু যতই শক্তিশালী হোক না কেন, মনে রাখতে হবে—“আল্লাহর হাত তাদের হাতের ঊর্ধ্বে।” [সূরা আল-ফাতহ: ১০]
ওয়াসসালামু আলাইকম ওয়া রহমাতুল্লাহ
-নাসির মাকারেম শিরাজী
কোম, ইরান
আপনার কমেন্ট