মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫ - ০৯:৫১
আমেরিকা-ইসরায়েল ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে টার্গেট করলে পাকিস্তান নীরব থাকবে না

আমেরিকা ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর বিরুদ্ধে হামলার হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের একজন সিনেটর। তিনি বলেন, এই ধরনের হামলা শুধু ইরানের ওপর নয়, বরং পুরো মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: পাকিস্তানি সিনেটর ও শিয়া নেতা আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস জাফরী আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীকে একজন ধর্মীয় মারজায়ে তাকলীদ (সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা) এবং রাজনৈতিক নেতার মর্যাদা দিয়ে বলেন, “যে কেউ ইসলামের এই নেতাকে হুমকি দেয়, সে আল্লাহর শত্রু। ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী, তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

তিনি জানান, গত ১৩ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একটি সুস্পষ্ট ও বিনা উসকানির আগ্রাসন চালায়, যেখানে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করা হয়।

২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়—যা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-এর মারাত্মক লঙ্ঘন বলে অভিহিত হচ্ছে।

এই ১২ দিনের যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, “আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী একটি সহজ টার্গেট।” অপরদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “খামেনেয়ীকে হত্যা করলেই যুদ্ধ শেষ হবে।”

এই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সিনেটর বলেন, “ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে জানতে হবে—এই হামলা কেবল ইরানের বিরুদ্ধে নয়; এটা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমরা পাকিস্তান থেকেও জবাব দেব। যদি এ ধরনের হামলা হয়, তবে পাকিস্তানে কোনো আমেরিকান থাকবে না। যখন তারা কোনো আন্তর্জাতিক আইন মানে না, তখন আমরা চুপ করে বসে থাকব না।”

রবিবার ইরানের শীর্ষ আলেম আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এবং আয়াতুল্লাহ হোসেইন নূরী হামেদানী ফতোয়া জারি করেন। তারা বলেন, ইসলামী উম্মাহ ও তার নেতৃত্বকে যেকোনো হুমকি বা হামলা ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধের শামিল এবং তা প্রতিরোধ করা অপরিহার্য।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha