হাওজা নিউজ এজেন্সি: বুধবার তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লায় এক স্মরণসভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, এই যুদ্ধে শহীদ হওয়া ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন থেকেই ইরানের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী উত্তরে, দক্ষিণে ও পূর্বে ইসরায়েলি অবস্থানগুলোতে জবাবি হামলা শুরু করে এবং ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
কালিবাফ বলেন, “শত্রুরা ভেবেছিল ইসলামী ইরানের জনগণ দুর্বল হয়ে পড়েছে, কিন্তু জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাদের ভুল প্রমাণ করেছে এবং বিজয় অর্জন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, ইরানের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা এতটাই উন্নত যে একটি মাত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ঘাঁটি বেয়ার শেভাতে আঘাত হানা সম্ভব হয়েছে, যা ইরানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রমাণ।
তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকার কিছু বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল একটি দিনও টিকে থাকতে পারবে না। কালিবাফ বলেন, “এই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতায় ইসরায়েল শুরু করেছিল, তবে ইরান তাদের তাৎক্ষণিক ও কঠোর জবাব দিয়েছে।”
কালিবাফ আরো বলেন, “ইরান তার ভূখণ্ড রক্ষায় কখনোই পিছু হটবে না। যারা দেশদ্রোহিতা করবে ও শত্রুর পক্ষে কাজ করবে, ইতিহাস তাদের ধুলিসাৎ করে দেবে।”
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আকস্মিক হামলা শুরু করে, যেখানে সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এই আগ্রাসনে তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ জনগণ নিহত হন এবং বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাটানজ, ফোর্দু এবং ইস্পাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
আপনার কমেন্ট