হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, জাহাজে হামলার এই পদক্ষেপ গাজায় আগ্রাসন থামাতে সিয়োনিস্ট সরকারকে চাপ দেওয়ার কৌশলের অংশ, এবং এই অভিযান চলবে যতক্ষণ না ইসরায়েলি হামলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি বলেন, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণ এবং সাহসী মুজাহিদদের সমর্থনে ইয়েমেনি নৌবাহিনী ‘এটারনিটি সি’ নামক একটি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে যা দখলকৃত ফিলিস্তিনের উম্ম আল-রাশরাশ বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। এক ড্রোন এবং তিনটি ক্রুজ মিসাইল দিয়ে হামলাটি চালানো হয়, যার ফলে জাহাজটি সম্পূর্ণভাবে ডুবে যায়। এই অভিযানের অডিও ও ভিডিও ডকুমেন্টেশন তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই অভিযানের পর, ইয়েমেনি নৌবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট জাহাজের অনেক ক্রুকে উদ্ধার করে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইয়াহিয়া সারিয়ি জোর দিয়ে বলেন, এই জাহাজের ক্রু ও কোম্পানির মালিক স্পষ্টভাবে আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে এবং আবারও উম্ম আল-রাশরাশ বন্দরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, এমনকি ইয়েমেনি নৌবাহিনীর সতর্কবার্তা ও বার্তাও উপেক্ষা করেছে।
তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, আমরা লাল সাগর এবং আরব সাগরের পানিতে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখব। যারা দখলদার ইসরায়েলের বন্দরের সঙ্গে সহযোগিতা করবে, তাদের জাহাজও হামলার লক্ষ্য হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই সামরিক পদক্ষেপগুলো ইসরায়েলি সরকার ও তাদের মিত্রদের বাধ্য করতে পরিচালিত হচ্ছে যাতে তারা গাজায় অবরোধ শেষ করে, আগ্রাসন বন্ধ করে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য গণহত্যা থামায়।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র জানান, তারা নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থেকে তাদের সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে এবং আগ্রাসনের সম্পূর্ণ অবসান ও গাজার অবরোধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।
আপনার কমেন্ট