হাওজা নিউজ এজেন্সি: চিঠিতে তিনি ইসরাইলি আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেন। তার মতে, এই হামলা আসলে একমেরু বিশ্বব্যবস্থা থেকে বহু-মেরুকেন্দ্রিক ব্যবস্থার দিকে বিশ্বের গতিশীলতার প্রতিক্রিয়া।
অধ্যাপক লিথুনিনকো লিখেছেন, পশ্চিমা লিবারেলিজম মানব সভ্যতার উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে। এই প্রভাবের ফলে সাংস্কৃতিক অবক্ষয়, পারিবারিক কাঠামোর ভাঙন, জন্মহার হ্রাস, শয়তানপূজার প্রসার এবং জ্ঞানবিজ্ঞানকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের মতো বিপজ্জনক প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, বর্তমানে সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংসের মাধ্যমে বিশ্বকে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর উপর হামলা চালিয়েছে।
চিঠির শেষাংশে তিনি ইরানকে জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রগামী দেশগুলোর অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে ইরানি জনগণ, বিশেষ করে নিরপরাধ শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি রুশ বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানি জাতি আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
চিঠিতে তিনি সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হওয়া ইরানি বিজ্ঞানীদের অনেকে রাশিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গবেষণামূলক সহযোগিতায় যুক্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
আপনার কমেন্ট