হাওজা নিউজ এজেন্সি: জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের উপ-আমির ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান সহিংসতা এবং সেই অপরাধে আমেরিকার অন্ধ সমর্থনকে ইসলামী বিশ্বের জন্য একটি গুরুতর সতর্কবার্তা বলে অভিহিত করেন। এ অবস্থায় তিনি মুসলিম দেশগুলোর প্রতি অধিক সতর্কতা ও ঐক্যের আহ্বান জানান।
লিয়াকত বালুচ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন সায়োনিস্ট লবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং মুসলিম দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করছে। তিনি বলেন, গাজায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষের শাহাদাত গোটা মুসলিম উম্মাহকে জাগিয়ে তুলেছে এবং ঐক্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, “যদি মুসলমানরা আন্তরিকতা ও ঐক্যের ভিত্তিতে একত্রিত হয়, তাহলে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও পাশ্চাত্য পুঁজিবাদী ব্যবস্থার পতন অনিবার্য হয়ে উঠবে।”
লিয়াকত বালুচ শীতল যুদ্ধের সময় মুসলিম বিশ্বের বিভক্তির করুণ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আজ ইরানের ইসলামি সরকার তার বিশ্বাসভিত্তিক দর্শন ও কার্যকর নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, একটি সুশৃঙ্খল আদর্শ ও স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে সফলতা অর্জন সম্ভব।
মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আজ এই অঞ্চল কার্যত সায়োনিস্ট লবির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, যা সমগ্র অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য একটি ভয়াবহ হুমকি। তিনি সতর্ক করেন, “ফিলিস্তিন ইস্যুকে বাতিল করে তথাকথিত দ্বিরাষ্ট্র সমাধান মুছে দেওয়ার চেষ্টা পুরো অঞ্চলের জন্য বিষাক্ত পরিণতি বয়ে আনবে।” তিনি মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা পারস্পরিক স্বার্থ ও ঐক্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন। লিয়াকত বালুচ বলেন, “বর্তমান হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা জনগণকে প্রতারিত করছে। এই ধরনের চাপ ও কৌশল দিয়ে রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।” তিনি রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে একটি গঠনমূলক ও পরিপক্ব সংলাপের আহ্বান জানান।
 
             
                
আপনার কমেন্ট