হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু মানুষ ভুল ধারণায় বিশ্বাস করে বসেছে যে, ইবলিস আসলে ছিল এক মহান তাওহিদপন্থী। তাদের দাবি, যখন আল্লাহ আদম (আ.)-কে সিজদা করতে বলেছিলেন, তখন ইবলিস নাকি বলেছিল — “আমি শুধু তোমাকেই সিজদা করবো” — যা তারা তাওহিদের শুদ্ধতম প্রকাশ হিসেবে দেখে।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ আল্লাহ ইবলিসকে নিজের জন্য সিজদা করতে বলেননি; বরং আদমকে সিজদা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন — যা ছিল তাঁরই আদেশ।
ইবলিস আল্লাহর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল: “হে আল্লাহ, আমাকে আদমকে সিজদা থেকে অব্যাহতি দিন, আমি আপনাকে এমন সিজদা করবো যা কোনো ফেরেশতাও করেনি।” কিন্তু আল্লাহ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, “আমি তোমার দীর্ঘ সিজদা চাই না, চাই আমার নির্দেশ মানা।”
ধর্মীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আল্লাহর আনুগত্য মানে তাঁর আদেশ মেনে চলা, যা অনেক সময় ব্যক্তিগত ইবাদতের চেয়েও অগ্রাধিকার পায়। যেমন—
যদি কেউ নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে এমন একজনের মুখোমুখি হয়, যার কাছে তার ঋণ আছে, তবে আগে ঋণ শোধ করাই হবে কর্তব্য, এমনকি প্রথম ওয়াক্তের নামাজ মিস হয়ে গেলেও।
যদি বাবা-মা রাজি না থাকেন, তবে ইমাম রেজা (আ.)-এর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করাও হারাম হবে, যদিও তা দেখতে ইবাদতের মতো মনে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটিই ইবাদত (উপাসনা) ও উবুদিয়াতের (আল্লাহর দাসত্ব) মধ্যে মূল পার্থক্য। ইবলিসের মতো শুধু নিজের মনমতো ইবাদত নয়, বরং আল্লাহর নির্দেশ মানাই হলো প্রকৃত আনুগত্য।
তারা আরও সতর্ক করেছেন — যারা বলে, “আমরা শুধু আল্লাহর কাছেই চাই, আহলুল বাইতের কাছে চাই না” — তারাও ভুল করছে। কারণ আহলুল বাইত আল্লাহর নিযুক্ত প্রতিনিধি; তাদের মাধ্যমেই আল্লাহ মানুষের প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা করেছেন।
আপনার কমেন্ট