হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ মুফিদ হোসেইনি কুহসারি, হাওযা ইলমিয়্যার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী, পূর্ব আজারবাইজানের মুবাল্লিগ ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য আয়োজিত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দক্ষতা উন্নয়ন বিশেষ কোর্সে বলেন— সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ১২ দিনের যুদ্ধ ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই যুদ্ধ পশ্চিমা পরাশক্তি ও ইসরায়েলি দখলদার শাসনব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং প্রমাণ করেছে যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বিশ্বে সব ধরনের ঔপনিবেশিক শক্তির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
তিনি নতুন বৈশ্বিক সংগঠন যেমন ব্রিকস এবং আঞ্চলিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেন— আমরা ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে বিশ্ব বহুমুখী ক্ষমতার দিকে এগোচ্ছে এবং প্রতিরোধ ফ্রন্ট তার অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে এই পরিবর্তনের অন্যতম প্রভাবশালী কেন্দ্রবিন্দু।
হুজ্জাতুল ইসলাম হোসেইনি কুহসারি আজারবাইজান প্রসঙ্গে হাওযা ইলমিয়ার দায়িত্বের কথা তুলে ধরে বলেন— আমাদের মূল মিশন হলো ককেশাস অঞ্চলে বিশেষ করে আজারবাইজানে শিয়া পরিচয় সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করা, যা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত— শিয়াবাদের ইতিহাস, ধর্মীয় জ্ঞান এবং স্থানীয় জনগণের ধর্মীয় কার্যক্রম।
তিনি আরও বলেন— হাওযা ইলমিযা চারটি ক্ষেত্রে কাজ করা উচিত— গবেষণা, শিক্ষা, প্রচার ও থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক কার্যক্রম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজারবাইজানের শিয়া জনগণের বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণায় বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে, যা গবেষণাপত্র, বই ও সেমিনারের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী এ ক্ষেত্রে কর্মী ও মুবাল্লিগদের কিছু পরামর্শ দেন।
ইন্দোনেশিয়ায় আল-মুস্তাফা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অংশগ্রহণকারীদের সুপারিশ করেন—
মূল মিশনে মনোযোগ (আজারবাইজানের শিয়া পরিচয় শক্তিশালী করা)
নিয়মিত জ্ঞানার্জন (শহীদ মুতাহাররি, ইমাম খোমেইনি (রহ.) ও সর্বোচ্চ নেতার রচনা অধ্যয়ন)
ভার্চুয়াল জগৎ ও মিডিয়ায় দক্ষতা বৃদ্ধি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে দ্রুত কন্টেন্ট তৈরি
আজারবাইজান সম্পর্কিত গবেষণায় বিশেষায়িত কাজের বণ্টন
আন্তর্জাতিক প্রচারের সুযোগগুলোর সাথে সমন্বয় (যেমন— আরবাইন, গণ-সংগঠন)
তিনি মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের প্রসঙ্গে বলেন— আমরা এমন বৃহৎ ঘটনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি যা হয়তো আজ কল্পনাও করা যাচ্ছে না, যেমন অতীতে কেউ ভাবতে পারেনি আরবাইন এত ব্যাপক হবে।
তিনি আরও বলেন— ইসরায়েলি দখলদার শাসনের পতন ও আমেরিকার ক্ষমতার অবনতি মোটেও অসম্ভব নয় এবং আমাদের এই পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আপনার কমেন্ট