হাওজা নিউজ এজেন্সি: সফরের আগে তেহরানে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক খুবই ভালো এবং এই সফরের মাধ্যমে আমরা তা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি নিয়ে আসার চেষ্টা করব।”
তিনি ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও আন্তরিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, এই সম্পর্ক অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, শিল্প এবং সীমান্ত সহযোগিতা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে আদর্শগত সংহতির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান আঞ্চলিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সমর্থনের প্রশংসা করে বলেন, সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে জায়োনিস্ট শাসনব্যবস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি পাকিস্তানি সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারা ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং ইসলামি বিশ্বের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি সীমান্ত বাণিজ্য, বাজার ও পরিবহনে সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন এবং বলেন, ইরান চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে নির্মিত সিল্ক রোড প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়, যা ইরান থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বাণিজ্য রুট তৈরিতে সহায়ক হবে।
পরিশেষে, তিনি বাহ্যিক শক্তিগুলোর ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা বিষয়ে সতর্ক করে ইরানের পাকিস্তানের সঙ্গে ঐক্য বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান প্রথমে লাহোর সফর করবেন, যেখানে তিনি ইসলামী বিশ্বের মহান কবি ও চিন্তাবিদ মুহাম্মদ ইকবালের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছাবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে সরকারি স্বাগত অনুষ্ঠান শেষে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদ ও সিনেটের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আপনার কমেন্ট