হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান তাঁর ভাষণে মুসলমানদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হিসেবে ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, "রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল জাতি ও গোত্রগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করা। আমরা তাঁর অনুসারী হিসেবে আমাদের ঐক্য ও সংহতির মাধ্যমে বর্বর সায়োনিস্ট শাসকদের এমন অপরাধ ঠেকাতে হবে।
তিনি মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ ও মতভেদের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যদি মুসলিম সমাজ ঐক্যবদ্ধ হতো, তবে ইসরাইল বা আমেরিকা কেউই আমাদেরকে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখার সাহস করত না কিংবা আমাদের অধিকার লঙ্ঘন করতে পারত না। আমাদের আসল সমস্যা আমেরিকা বা ইসরাইল নয়, আমাদের মূল সমস্যা হলো আমাদের নিজেদের ভেতরের বিভক্তি।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, চলুন! আমরা নিজেদের থেকেই শুরু করি এবং আমাদের মধ্যে সেই ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করি, যা রাসূলুল্লাহ (সা.) চেয়েছিলেন। আজ ইসলামী সমাজে কোনো ক্ষুদ্র ঘটনা ঘটলেও পশ্চিমা বিশ্ব সেটিকে বিকৃত করে তুলে ধরে। অথচ তারা নিজেরাই নারী, শিশু ও প্রবীণদের প্রতি নির্মম আচরণ করে, নির্বিচারে গণহত্যা চালায়, যেখানে মানবতার কোনো অস্তিত্বই নেই। তারা আমাদের বিভেদের সুযোগ নিয়ে অস্ত্র বিক্রি করে এবং আমাদের সম্পদ লুটে নেয়।
ড. পেজেশকিয়ান স্পষ্ট করে বলেন, আমরা কোনো মুসলিম দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করব না। বরং ইসলামী সমাজে ঐক্য ও সংহতির প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি ইসলামী দেশগুলো কর্তৃক ইসরাইলি অপরাধের নিন্দার প্রশংসা করলেও এটিকে যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, আমাদের আরও শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়ে সায়োনিস্টদের মোকাবিলা করতে হবে। তখনই আমরা সম্মানিত হব এবং ইসলামি উম্মাহর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার গুরু দায়িত্ব আমরা একসঙ্গে পালন করতে সক্ষম হব—যার মধ্যে আলেম সমাজেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।
আপনার কমেন্ট