রবিবার ৫ অক্টোবর ২০২৫ - ১৩:০৫
হুজ্জাতুল ইসলাম হায়দারির শাহাদত প্রমাণ করেছে—বিপ্লবী ও জনগণমুখী আলেম সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে

ইরানের হাওজায়ে ইলমিয়ার মহাপরিচালক আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি, তেহরানের বাগে ফেইয এলাকার বাকিয়াতুল্লাহ (আ.ফা.) মসজিদের ইমাম জামাআত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাজ শাইখ ওয়ালিউল্লাহ হায়দারির শাহাদতের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি বলেন, “এই শাহাদত আবারও প্রমাণ করল যে আজকের আলেম সমাজ অতীতের মতোই জনগণ, দেশ ও ইসলামী আদর্শ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং নিজেদের বক্ষকে ঢাল হিসেবে জনগণের সামনে দাঁড় করিয়েছে।”

শোকবার্তার পূর্ণ পাঠ নিম্নরূপ:

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ

“বিশুদ্ধ মনের, নিষ্ঠাবান ও সেবাপরায়ণ আলেম হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাজ শাইখ ওয়ালিউল্লাহ হায়দারির শাহাদত—যিনি যোহরের নামাজ আদায় শেষে এক বিভ্রান্ত তরুণের হাতে শহীদ হয়েছেন, যে তরুণ শত্রুদের বিষাক্ত প্ররোচনার শিকার ছিল; এই শাহাদাৎ আবারও প্রমাণ করেছে যে জনগণমুখী ও বিপ্লবী আলেমগণ আজও জনগণের মাঝে রয়েছেন।

যদিও শত্রুরা বিভিন্ন সময় আলেম সমাজ ও জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং মাঝে মাঝে ইমাম সাদিক (আ.)-এর বাগানের একেকটি ফুলকে এই জাতির বুক থেকে ছিনিয়ে নেয়, তবুও এই আলেমগণ তাঁদের দায়িত্ব থেকে কখনও সরে যাননি।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের আলেম সমাজ অতীতের মতোই জনগণ, দেশ ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাঁরা তাঁদের জ্ঞান, আধ্যাত্মিকতা ও দাওয়াতের মাধ্যমে শত্রুদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছেন এবং ইসলামী নবজাগরণের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছেন।”

আয়াতুল্লাহ আ’রাফি আরও বলেন, “আমি এই জনগণমুখী ও নিঃস্বার্থ আলেমের শাহাদতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই যেন এই মর্মান্তিক ঘটনার সব দিক বিস্তারিতভাবে তদন্ত করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।”

— আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি
মহাপরিচালক, হাওজায়ে ইলমিয়া

ঘটনার পটভূমি
গত বৃহস্পতিবার (তেহরান সময় দুপুরে) বাগে ফেইয এলাকার বাকিয়াতুল্লাহ (আ.ফা.) মসজিদে মুসল্লিরা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় এক তরুণ দুটি ছুরি হাতে ভিড়ের মধ্যে থেকে ইমামে জামাআতের দিকে ছুটে গিয়ে তাঁকে আঘাত করে।

মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীকে আটক করে এবং দ্রুত পুলিশ ও জরুরি সেবায় খবর দেয়।
৬৫ বছর বয়সী ইমামে জামাআতকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে শহীদ ঘোষণা করেন।

এরপর ঘটনাস্থলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অপরাধ তদন্ত দল উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। বর্তমানে হামলাকারীকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha